জামালপুরে আমের ফলন কমার আশংকা

অব্যাহত দাবদাহ প্রচন্ড খরা ও পোকার আক্রমনে জামালপুরে আমের ফলন কমার আশংকা দেখা দিয়েছে। অনেকে শখ করে ও বানিজ্যিক ভাবে লাভের আশায় নানা জাতের আম বাগান করেছিলো। শুরুতে আমের মুকুল দেখে আশা করেছিলো বাম্পার ফলন হবে।

তীব্র দাবদাহের কারনে সেই আশা ভেস্তে যেতে বসেছে।
জানা যায়,জামালপুর সদর উপজেলাধীন সাহাবাজপুর,তিতপল্লা,শ্রীপুর ও বাশচড়া এলাকায় শতাধিক আম বাগান রয়েছে। বাড়ির আঙ্গিনা সহ আশে পাশের পতিত জমিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে অনেকে রাজশাহী থেকে কলম সংগ্রহ করে আম বাগান করেছে। সরেজমিনে এ এলাকা ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন আম চাষীর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, শুরুতে আম গাছে যে ভাবে মুকুল এসেছে তাতে ধারনা হয়েছিলো বাম্পার ফলন হবে।

কিন্তু দাবদাহ প্রচন্ড খরা ও পোকার আক্রমনে আমের আমের গুটি ঝড়ে পড়ছে। ফলে আমের বাম্পার ফলন নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান,আমের গুটি রক্ষার্থে চাষীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে পোকার আক্রমন বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ দিকে মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় আম চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে।

সরেজমিনে এ উপজেলা গুলোর মহাদান,ভাটারা,কামরাবাদ,নাংলা,আদ্রা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে জানা গেছে,এ সব এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক আম বাগান রয়েছে। সরকার কৃষক স্বনির্ভর কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগের মাধ্যমে আম বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছিলো। অনেকে আম বাগানের মাধ্যমে স্বাবলম্বিতা অর্জন করলেও এবার মৌসুমে তীব্র দাহের কারনে অনেক বাগানে গুটি ঝড়ে পড়েছে। যারজন্যে বাম্পার ফলন হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। আম চাষী ফজলু(৪০) জানান,এবার মৌসুমে আমের লোকসানের মুখোমুখি। এতে লোকসান হবে কোটি টাকার মতো।