ইয়াবা সেবন করিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ!

বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় ইয়াবা সেবন করিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৯ জুলাই রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ইয়াবা সেবন করিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাতে পুলিশ ধর্ষণ মামলার আসামি তাপস শীল (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার এসআই মো. শাহজাহান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাতে মামলার অন্যতম আসামি তাপস শীলকে টরকী বন্দরে তার সেলুন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাপস ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে যে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে, তা তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এর আগে ওই মামলার আসামি আগৈলঝাড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের দ্বীজেন জয়ধরের ছেলে দীপক, তার মা পুস্প জয়ধর ও স্ত্রী কচি জয়ধরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১০ আগস্ট আসামিরা বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলামের কাছে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী বাহাদুপুর গ্রামের তার মামা বাড়িতে থেকে বাহাদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী কোটালীপাড়ার জহরেরকান্দি গ্রামে। ২৯ জুলাই রাতে দীপকের বাহাদুরপুর গ্রামের বাড়িতে তাপসের সঙ্গে ইয়াবা সেবন করতে আসে গৌরনদীর গোবর্ধণ গ্রামের কুদ্দুস ফকিরের ছেলে কাওসার ফকির ও নন্দনপট্টি গ্রামের শফি মৃধার ছেলে সেন্টু মৃধা। পরে দীপকের স্ত্রী মোবাইল ফোনে ওই স্কুলছাত্রীকে তার ঘরে ডেকে আনেন।

এসময় ওই স্কুলছাত্রীকে ইয়াবা সেবন করিয়ে বেসামাল করে ধর্ষণ করে কাওসার। এক পর্যায়ে মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে চিৎকার করলে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে দীপক, তার মা ও স্ত্রীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বাকিরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত ৩০ জুলাই ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে তাপসের বন্ধু কাওসার ফকির, ধর্ষণের সহয়তার জন্য দীপক, তার মা পুস্প রানী, স্ত্রী কচি ও তাপসকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে।