উদ্ধার হলো ফারুক-কবরীর জনপ্রিয় ছবি সুজন সখী

ফারুক-কবরী অভিনীত সত্তর দশকের সাড়া জাগানো সাদাকালো ছায়াছবি ‘সুজন সখী’। ছবিটির ৩৫ মি.মি. একটি প্রিণ্ট উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। ফিল্ম আর্কাইভের চলচ্চিত্র সংগ্রাহক মো. ফখরুল আলম আজ রোববার (১১ জুন) ‘সুজন সখী’ ছবির একটি প্রিণ্ট উদ্ধার করেন মগবাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে।

দীর্ঘ বিশ থেকে পঁচিশ বছর পর্যন্ত এ ছবিটির কোনো প্রিণ্ট বা নেগেটিভের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১৯৭৫ সালের ১০ অক্টোবর মুক্তিপ্রাপ্ত গ্রামীণ রোমান্টিক গল্পের সাড়া জাগানো এ ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। জনতা প্রোডাকশনের ব্যানারে এ ছবির পরিচালক হলেন প্রমোদকার গোষ্ঠি। ১৯৯০-৯১ সালের দিকে সাদাকালো ছবি হলে কম চলায়।

খান আতাউর রহমানের ডিষ্ট্রিবিউশন ম্যানেজার সৌমেন বাবু এ ছবিটি বিক্রি করে দেন মিয়া আলাউদ্দিনের কাছে। মিয়া আলাউদ্দিন থেকে ‘সুজন সখী’ ছবির একটি মাত্র কপি বেটাকম ক্যাসেটে ক্রয় করে রাখেন মধুমিতা মুভিজের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে ‘সুজন সখী’ ছবির কোনো সেলুলয়েড প্রিণ্টের কপি না থাকায় দীর্ঘদিন থেকে এটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়।

দীর্ঘ তিন দশক পর ফখরুল আলম এটির সন্ধান পান খান আতাউর রহমানের অফিস স্টাফ দেলোয়ারের কাছে এ ছবির একটি প্রিণ্ট রয়েছে। তার কাছ থেকে আজ ১১ জুন ৩৫ মি. মি. ১৩ রিলের সাদাকালো ‘সুজন সখী’ ছায়াছবির একমাত্র প্রিণ্টটি উদ্ধার করা হয়।

সাদাকালো ছায়াছবি ‘সুজন সখী’ ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসাবে খান আতা, প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবে আবদুল আলিম ও সাবিনা ইয়াসমিন প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৫ সালে নির্মিত এই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন ফারুক ও কবরী। আরও ছিলেন আনোয়ার হোসেন, সুলতানা জামান, রওশন জামিল, মিনু রহমান, খান আতা, টেলিসামাদ, ইনাম আহমেদ ও আরো অনেকে।