উ. কোরিয়াকে আক্রমণের হুমকি ট্রাম্পের

উত্তর কোরিয়াকে বাগে আনতে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর থেকে কঠোর বাণিজ্যিক শর্ত তুলে নিতে চলেছে আমেরিকা। বন্ধু রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জেই-ইনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এই নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উত্তর কোরিয়া নিয়ে ‘কৌশলগত ধৈর্যের’ পথ থেকেও সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

ওবামার সময়ে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি হাতে নেন। সে সময় আমেরিকা বুঝিয়ে সুঝিয়ে পিয়ংইয়ংকে নিরস্ত করতে উদ্যোগী হয়।

উত্তর কোরিয়ার মন রাখতে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর বাণিজ্যিক শর্ত চাপায়। উত্তর কোরিয়া কিন্তু পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে গেছে। এখন নিয়ম করে আমেরিকায় আঘাত হানার হুমকি দিচ্ছেন উন। এই অবস্থায় আবার দক্ষিণ কোরিয়াকে ব্যবহার করে উত্তর কোরিয়াকে চাপে রাখার কৌশল নিলনে ডন।

তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার বেপরোয়া এবং পাশবিক হুমকির শিকার দুই দেশই। পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির দৃঢ়ভাবে উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে। কীভাবে সে উত্তর দেয়া হবে তা খোলসা করেননি ট্রাম্প।

তবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যদি সেনা অভিযান চালাতে হয় তবে অবিশ্বাস্য উচ্চতায় পৌঁছবে। আর ফল হবে ভয়ানক। উত্তর কোরিয়াকে নিরস্ত করতে কূটনৈতিকভাবে চেষ্টাও করেছিলেন ট্রাম্প।

ক্ষমতায় আসার পরে চীনা প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠকে উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গ তোলেন ট্রাম্প। তার প্রস্তাব ছিল উত্তর কোরিয়ার ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা চাপাক বেইজিং। চীন সেই প্রস্তাব অগ্রাহ্য করেছে। এই অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসন উত্তর কোরিয়ায় শাখা রয়েছে এমন একটি ব্যাঙ্ক এবং চীনা নাগরিকদের ওপর খড়গ হস্ত হয়েছে।

চীনের গাত্রদাহ বাড়িয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে ১৪২ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি করেছে আমেরিকা। ট্রাম্প এবং মুন দুজনেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রেখেছেন। তবে এর জন্য উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র কর্মসূচি ছাড়তে হবে।