যশোরের ঝাঁপা বাঁওড়ে শতশত বিঘা জমিতে ধানের আবাদে সবুজ রঙে ছেয়ে গেছে

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়ের দুপাড়, এবছর বাঁওড়পাড়ের বাসিন্দাদের আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।

বাঁওড়ের দুপাড়ে ইরি-বোরো আবাদ করেছেন বাঁওড়পাড়ের বাসিন্দারা। ঝাঁপা বাঁওড়ের দুপাড় এখন সবুজ রংয়ে রঙিন। দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন- এক ইঞ্জি জমিও যেনো ফেলে রাখা না হয়। আপনাদের (কৃষকরা) যেটুকু জমি আছে, সেইটুকু জমিতে নানা ধরণের ফসলের আবাদ করেন। এই কথার সাথে মিল রেখে রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়পাড়ের কৃষকরা, বাঁওড়পাড়ে হেমন্তের আবহাওয়ায় জেগে থাকা পাড়ে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করেছেন।

জানাগেছে, বর্ষা মৌসুমে বিগত ২০০০ সাল থেকে ঝাঁপা বাঁওড়ের দুকূল উপচে, বন্যার সৃষ্টি হতো এবং এই পানি বদ্ধ অবস্থায় থাকতো। কৃষকরা ২০০০ সালের আগে ঝাঁপা বাঁওড়পাড়ে ধানের আবাদ করতো। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে প্রতিবছর বন্যা হয়ে পানি, বাঁওড়ের কানাই কানাই থাকতো। এজন্য কৃষকরা কোনো আবাদ করতে পারতো না। এবছর সেই ঝাঁপা বাঁওড়পাড় এখন কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ। বাঁওড়পাড়ের শতাধিক কৃষক শত শত বিঘা জেগে থাকা জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করেছেন। কৃষকরা এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস এই ধানের বাম্পার ফলন আশা করছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কথার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়পাড়ের বাসিন্দারা বাঁওড়পাড়ে জেগে থাকা জমিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ধানের আবাদ করেছেন এবং সব থেকে ভালো ধান ফলাবেন এই আশা করছেন কৃষকরাও।

জানাগেছে, বাঁওড়পাড়ে জেগে থাকা জমিতে ধান চাষ করলে খরচ অনেক কম। এখানে সার কম লাগে, সেচের পানির কোনো সমস্যা নেই। খুব সহজে বাঁওড়ের পানি সেচ দেওয়া যায় এবং ফলন বেশি হওয়ায় এখানে আবাদ করতে আগ্রহ বেশি কৃষকদের। তারা জানান- বাঁওড়পাড়ে জেগে থাকা মাটি অত্যন্ত ভালো মাটি। জৈবসার মিশ্রিত। তাই, ধানের ফলন ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।

ঝাঁপা বাঁওড়পাড়ের কয়েকজন কৃষক এই প্রতিনিধিকে জানান- তারা বহু বছর পর, এবার এই জমিতে ধানের আবাদ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এতে অনেক খুশি কৃষকরা।