এখনও অর্ধেকেরও বেশি হজযাত্রী সৌদি যেতে পারেননি

বাংলাদেশে থেকে এখন পর্যন্ত ৫৯ হাজার ১২২ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে গিয়েছেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ যাত্রী সৌদি আরবে যাবেন। ফলে এখনও অর্ধেকেরও বেশি হজযাত্রীর যাওয়া বাকি রয়েছে। রবিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ ২৭ হাজার ৮৪৪ জন এবং সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ৩১ হাজার ২৭৮ জন হজ যাত্রী পরিবহন করছে। চলতি মৌসুমে হজ ফ্লাইট শুরু হয় ২৪ জুলাই, চলবে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত।

হিজরি বর্ষপঞ্জির জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ শুরু হবে। বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রয়াত্ব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স হজ যাত্রী পরিবহন করছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন এয়ারলাইন্সটির মুখপাত্র শাকিল মেরাজ। তিনি জানান, এরমধ্যে ২টি ফ্লাইট চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাবে। আজ কোনও হজ ফ্লাইট বাতিল হয়নি। এখন পর্যন্ত বিমানের ২১টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে যাত্রী সংকটের কারণে।

সূত্র জানায়, হজ এজেন্সিগুলোর গাফিলতির ও অতি মুনাফার লোভের কারণেই একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। হজ ফ্লাইট শুরুর পর থেকে ভিসা জটিলতায় ও হজ যাত্রীদের বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত কারণে প্রায় ২৫টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। নিয়ম অনুসারে, হজ যাত্রীদের ফ্লাইটের আগেই সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করে ভাড়ার রসিদ ও বিমানের টিকিট নিশ্চিত করে হজ অফিস থেকে ডিও লেটার নিতে হয়। সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া না করার কারণে অনেক হজ যাত্রী ভিসা পেয়েও যেতে পারছেন না।

তবে নির্ধারিত সময়ের আগে সব হজ যাত্রীর ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে, বলে জানিয়েছে হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত ভিসার আবেদন বাড়ছে। আশা করছি সঠিক সময়ের মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। সব হজ যাত্রী সৌদি আরবে যেতে পারবেন।’-প্রতিবেদন বাংলাট্রিবিউনের সৌজন্যে প্রকাশিত।