এবারও মিলল না অনুমতি, বিএনপির সমাবেশ স্থগিত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠক করেও পুলিশের মন গলাতে পারল না বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি এবারও মিলল না এবারও। আর এ কারণে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে চতুর্থবারের মতো সমাবেশটি স্থগিত করেছে দলটি।

২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগের দিন বুধবার বিকালে নয়াপল্টনের দলীয় কার্ালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের সিদ্ধান্ত জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর জনসভার জন্য ব্যবহার করা ময়দানে বিএনপির সমাবেশ এ নিয়ে স্থগিত হলো চার দফা। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি, ১২ মার্চ এবং ১৯ মার্চ এখানে সমাবেশ করতে চেয়েও পারেনি বিএনপি। কারণ, পুলিশ তাদেরকে অনুমতি দেয়নি।

এই পরিস্থিতিতে ২৭ মার্চ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করে অনুমতির বিষয়ে কথা বলেন বিএনপির তিন নেতা নজরুল ইসলাম খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন বলে বিএনপি নেতাদেরকে জানান। তবে তিনি জানান, এই অনুমতি দেবেন পুলিশ কমিশনার। কাজেই তিনিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান বলেন, মন্ত্রীর বক্তব্য তাদের কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে এবং তারা এবার অনুমতি পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

তবে রুহুল কবির রিজভী জানান, তাদেরকে জনসভা করার অনুমতি দেয়নি সরকার। তিনি বলেন, বিএনপির মতো এত বড় রাজনৈতিক দলকে শান্তিপূর্ণ জনসভার অনুমতি না দেওয়া সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের বহিঃপ্রকাশ।’

বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরাচারী হিসেবে যে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, এই সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় সেটা সত্য বলেই প্রমাণ হলো।

এ সময় আগামী ৪ এপ্রিল রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ পিছিয়ে ১৫ এপ্রিল করার ঘোষণাও দেন বিএনপি নেতা রিজভী।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য আমাদের কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছিল। সে কথাই আপনাদেরকে বলেছিলাম। মন্ত্রী এখন টাঙ্গাইল সফরে আছেন। সেখান থেকে ফিরলে তার সঙ্গে আমরা আবার কথা বলব।