খালেদার সাজা কেন বাড়ানো হবে না : হাইকোর্টের রুল

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ কেন বাড়ানো হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাজা বাড়ানোর আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ রুল জারি করেন।

রাষ্ট্র ও খালেদা জিয়াকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

দুদকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর আবেদনের বিষয়টি শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। বিষয়টির গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন ঠিক করেন আদালত।

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সহযোগী আসামিদের ১০ বছরের সাজা অথচ মূল আসামি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন দুদক আইনজীবীরা। সেই সঙ্গে গত ২৫ মার্চ রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদকের পক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়নোর আপিল আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদআলম খান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম এবং তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। ছয় আসামির সবাইকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এরপর থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।

দুদকের আইনজীবীর মতে, ওই মামলার মূল আসামি খালেদা জিয়া। তাকে বিচারিক আদালত পাঁচ বছর সাজা দিয়েছেন। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জাগো নিউজকে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেন বিচারিক আদালত। দুদক মনে করে, খালেদা জিয়া মূল আসামি অথচ তার চেয়ে সহযোগীদের বেশি সাজা দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার এ সাজা অপর্যাপ্ত। তার সাজার অংশটুকু আমরা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছি।

বয়স ও সামাজিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে দেয়া পাঁচ বছর কারাদণ্ড আইনে গ্রহণযোগ্য নয় বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়। বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার এক মাস ১৭ দিনের মাথায় গত রোববার দুপুরে দুদক হাইকোর্টে এ আবেদন করে।