এস আলমের গুদামে ভয়াবহ আগুন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকায় এস আলম সুগারমিলের একটি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও প্রাথমিকভাবে অন্তত ১ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

গত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভেনি। সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এর আগে গত শুক্রবার (১ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকায় একই কোম্পানির এস আলম কোল্ড স্টোরেজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের গুদামেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত বলেন, ‘কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গুদামটিতে ১ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। যেগুলো পুড়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।

এটা নিয়ে ফায়ার সার্ভিস কাজ করবে।’ কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শোয়েব হোসাইন মুন্সী জানিয়েছেন, বিকাল চারটার কিছু আগে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ শুরু করলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়। পরে আশপাশের এলাকা থেকে আরও ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। প্রতিষ্ঠানটির ফ্যাক্টরি ম্যানেজার মো. হোসাইন জানিয়েছেন, রমজান সামনে রেখে অপরোশোধিত চিনিগুলো ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছিল।

পরিশোধনের পর চিনিগুলো বাজারে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছেন এ কর্মকর্তা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুদামের একপাশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পর খুব দ্রুত পুরো গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা টানা পানি ছিটানোর পরও দীর্ঘ সময় ধরে গুদামের ভিতরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। আগুনের লেলিহান শিখায় চিনির কাঁচামালের পাশাপাশি গুদামের টিনের ছাদ ও দেয়ালও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কর্ণফুলী থানার ওসি মোহাম্মদ জহির হোসেন সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তখনো পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা কেটে গেছে বলে মনে হচ্ছে।