ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা পেলেন খানসামার বৃদ্ধ মা

ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় বিশেষ আর্থিক সহায়তা পেয়েছে আরও একটি পরিবার। পরিবারটির বাকি কিস্তির টাকাও মওকুফ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেছেন খানসামার মৃত সোহাগ সেনের মা অর্চনা রানী।
সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওয়ালটন প্লাজার ক্রেতা সোহাগ সেন এর পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে এই সুবিধা পেলো তার পরিবার। বীরগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন সোহাগ সেনের মা অর্চনা রানী।

উল্লেখ্য, কিস্তিতে পণ্য কেনা গ্রাহকদের জন্য কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ক্রেতার পরিবার এই সুবিধা পেয়েছেন।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে বীরগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজায় নমিনি অর্চনারানীর হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক, ওয়ালটনের আর,সি,এম দিনাজপুর এরিয়া মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ওয়ালটন প্লাজা ঠাকুরগাঁও ম্যানাজার মোঃ জুয়েল রানা। ম্যানেজার ওয়ালটন প্লাজা বীরগঞ্জ মোঃ রকি শেখ, সোহেল আহমেদ প্রমুখ।

মৃত ক্রেতা সোহাগ সেনের মা জানান, খানসামা বানিয়া পাড়া স্থায়ী বসবাস তার ছেলে স্বর্ণের দোকান করতো বীরগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজা থেকে চলতি বছরের ২০ শে জুলাই ৪ হাজার ৫০০ টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ওয়ালটনের এল, ই ডি ২৪ ইঞ্চি টিভি নেন ৭ দিন পরেই ২৬ শে জুলাই আকস্মিকভাবে হৃদরোগে তার ছেলে মৃত্যুবরণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার কিস্তির টাকা মওকুফসহ ৫০ হাজার টাকার সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা।

পরিবারের এই অসহায় অবস্থায় ওয়ালটন প্লাজা তাকে সহায়তা করায় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান অর্চনা রানী। কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর ওয়ালটন প্লাজা থেকে নগদ অর্থ সহায়তা হিসেবে মোট ৪২ হাজার ৬০০শত ১৯ টাকা

গ্রহণ করেন তিনি। না চাইতেই ওয়ালটন প্লাজার কাছ থেকে এমন সহায়তা পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে মৃত সোহাগ সেনের পরিবার।

অর্চনা রানী বলেন, কিস্তিতে পণ্য কেনার পর আমাদের একটি সুরক্ষা কার্ড দিয়েছিল ওয়ালটন প্লাজা। সে সময় ওই কার্ডটির গুরুত্ব বুঝিনি। তবে, আজ সেটির গুরুত্ব বুঝতে পারছি। কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকের বিপদের দিনেও পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে ওয়ালটন।

এটি ওয়ালটন প্লাজার একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আসলে এভাবেই দেশের এই প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। ওয়ালটন প্লাজা থেকে এই আর্থিক সহায়তা পেয়ে আমরা সবাই অত্যন্ত আনন্দিত। পরিবারের এমন অবস্থায় এই টাকা আমাদের অনেক উপকারে আসবে।