ওসির উপস্থিতিতে পলাতক আসামিরা আওয়ামী লীগে

সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কক্সবাজারের পেকুয়ায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস পোড়ানোর মামলার তিন পলাতক আসামি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় তাদের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল স্থানীয় এমপির হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে পেকুয়া থানা পুলিশের ওসিও উপস্থিত ছিলেন।

আ’লীগের যোগদানকারী তিন নেতা হলেন, পেকুয়া মাতবর পাড়া গ্রামের আহমদ নুরের ছেলে পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি একাধিক নাশকতা মামলার আসামি মাহবুল করিম, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আবদুল হামিদ সিকদারপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল সিকদার এবং পেকুয়া মইয়াদিয়া গ্রামের মোস্তাক আহমদের ছেলে উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মমতাজুল ইসলাম। তারা প্রত্যেকেই পলাতক ছিলেন।

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির এসব নেতা একসময় ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তারা দলে যোগ দিলেও কোনো পদ-পদবি দেয়া হয়নি। তাদেরকে আমরা পর্যবেক্ষণে রাখব। যদি তাদের কর্মকাণ্ড ভালো হয় তাহলে দলে রাখব, না হয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তিনজনের মধ্যে মাহবুব মেম্বারের নামে শুধু মামলা রয়েছে। বাকিদের নামে মামলা নেই।

মামলার বাদী ও সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, পেকুয়ায় নির্বাচনী অফিসে আগুন দেয়ার ঘটনায় আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি দলের স্বার্থে। সংবর্ধনা সভায় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তাই আমি এ ঘটনা সম্পর্কে জানি না।

পুলিশের সামনে পলাতক আসামিদের আওয়ামী লীগে যোগদানের ব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া থানা পুলিশের (ওসি) জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পলাতক ওইসব আসামিকে ধরতে কাজ করছে পুলিশ। তারা আত্মগোপনে থাকায় ধরতে পারিনি। তবে তাদের আওয়ামী লীগে যোগদানের বিষয়টি আমার জানা নেই।