কাজের ছেলে || আবদুল হালীম খাঁ

কাজের ছেলে
-আবদুল হালীম খাঁ

একটি ছেলে মাথায় তার বুদ্ধি মেলা
দিনরাত সাহিত্য নিয়ে করে খেলা।
দেশের মানুষ নিয়ে তার চিন্ত কী যে
নিজের কথা কভু সে ভাবে না নিজে।

দূরে কাছে কোথায় কে কোন কষ্টে আছে
যায় ছুটে সে ব্যথিত সব লোকের কাছে।
নিজের কাঁধে নেয় তুলে সব ব্যথা ভার
এমন ছেলে কোথায় আছে কে খোঁজে তার।

দিবস রাত কাজ নিয়ে সে আত্নহারা
চলছে ছুটে সুরমা যেনো পাগল পারা।
নিজের খেয়ে দেয় সে বেধেঁ পরের ঘর
তার কাছে নেই ভেদাভেদ আপন পর।

নিজের খাবার বিলিয়ে দেয় পরের তরে
গৃহহীনকে ঠাঁই দেয় সে নিজের ঘরে।
সবার আধাঁর ঘরে সে দেয় আলো জ্বেলে
কোথায় আছে সোনা মানিক এমন ছেলে?

ছেলে তো নয়, যেনো এক গানের পাখি
ডাহুক হেনো করছে সদা ডাকাডাকি:
জাগো জাগো দ্যাখো চেয়ে হয়েছে ভোর
পূর্বাকাশে হাসছে আলো খোল দোর।

ছেলে তো নয়, যেনো এক মুয়াজ্জিন
তাজা করতে চাচ্ছে সে খোদার দ্বীন।
চারদিকে জাগিয়ে তুলেছে সে শিহরন
আড়মোড়া দিয়ে জাগছে সবার তনু মন।

তার হাতে হচ্ছে যুগের কাব্য লেখা
আঁধার চিরে হাসছে ঐ আলোর রেখা।
সাহিত্য কর্মে সেনাপতি রণ উদ্দাম
আবদুল হাই ইদ্রিছী সেই ছেলের নাম।

সাহিত্যপত্রের পাতায় পাতায় তার লেখা
কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, সবই যাচ্ছে দেখা।
এসো সবাই তাকে একটু আদর করি
ভালোবেসে সোহাগ দিয়ে হৃদয় ভরি।