কারাগারে স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটালেন খালেদা জিয়া

ঈদের দিন কারাগারে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটালেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আড়াই ঘণ্টা সাক্ষাৎ শেষে বুধবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তারা।

কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তার পরিবারের ছয় সদস্য কারাগারে ঢোকেন। এর আগে দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে কারাফটকে অপেক্ষা করেন তারা।

প্রথমে খালেদা জিয়া স্বজনদের ২০ জনের একটি তালিকা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়া হলেও ভেতরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন ছয়জন। বাকিরা কারাফটক থেকেই ফিরে যান।

কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, তার মেয়ে জাফিয়া রহমান, খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম, বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম, ভাই সাঈদ এস্কান্দরের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু।

সূত্র জানায়, সাক্ষাতে খালেদা জিয়া বোন, ভাবি ও স্বজনদের বুকে জড়িয়ে নিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি স্বজনদের নাম ধরে ধরে সবার খোঁজ-খবর নেন। জানতে চান পরিবার ও স্বজনদের শিশুরা কেমন আছে, ঈদ কেমন কাটছে।

এদিকে ঈদের দিনেও কারাবন্দী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি দলের সিনিয়র নেতারা। বুধবার দুপুরে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে তারা ফিরে এসেছেন।

ঈদের নামাজ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে পুরনো কারাগারের নাজিম উদ্দীন রোডে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

কিন্তু আগে থেকেই নাজিম উদ্দীন রোডের মাথায় ব্যারিকেড দিয়ে রাখে পুলিশ। সেখানেই বিএনপি নেতাদের আটকে দেয়া হয়।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অনুমতি চেয়ে বিএনপির প্যাডে লেখা চিঠি পুলিশকে দেখিয়ে বলেন, দেখা করার অনুমতি চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আমরা চিঠি দিয়েছি।

তাছাড়া ঈদের দিন আত্মীয়-স্বজন এবং রাজনৈতিক সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ বন্দির আইনগত অধিকার।