কার্পাসডাঙ্গায় মাদক বিরোধী অভিযান : ৪৫ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

শামীম রেজা, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আসাদ মাদক বিরোধী সফল অভিযান চালিয়ে ইউনিয়নের পীরপুরকুল­া গ্রাম থেকে ৪৫ কেজী গাঁজা সহ একই পরিবারের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে মাদকের আসল মালিক কায়জার রয়েছে পালাতক।জানা গেছে গতকাল শক্রুবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ দিকে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেনের নির্দেশে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আসাদুর রহমান আসাদের নেতৃত্বে এ এস আই মাসুদ রানা, এ এস আই শাহজালাল,এ এস আই আবুল কাশেম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযানে নেমে কার্পাসডাঙ্গা পীরপুরকুল­া গ্রামের মখোলা পাড়ার মহাব্বতের ছেলে রফিকুলের বাড়ীর গোয়ালঘর থেকে তিন বস্তা থেক প্রায় আনুমানিক ৪৫ কেজী গাঁজা উদ্ধার করে।এসময় পুলিশ রফিকুল তার স্ত্রী শাহিনা ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে শাহ আলমকে আটক করে।গাঁজা আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসেন দামুড়হুদা -জীবননগর সার্কেল এ এস পি কলিমউল­াহ।রফিকুলের ছেলে শাহ আলম নিজেকে নির্দোশ দাবী করে তিনি গাজার ব্যাপারে কিছু জানেন না জানিয়ে তার বাবা সব বলতে পারবেন বলে সাংবাদিক সহ শত শত উৎসুক জনতার মাঝে জানান।এসময় রফিকুল জানান গাঁজার আসল মালিক পীরপুরকুল­ার মখোলাপাড়ার মাদক সম্রাট বহু অপর্মের হোতা ছিনতাই মামলার অন্যতম আসামী হাসেল মন্ডলের ছেলে হাসেল মন্ডলের ছেলে কায়জারের বলে জানান।বহু অপকর্মের হোতা মাদক সম্রাট কায়জার ইতিপূর্বেও সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক হয়।পরে আবারো কায়জারের ফেন্সিডিল সহ কায়জারের আলমসাধুর ড্রাইভার আটক হলেও সে দফা পালিয়ে রক্ষা পায় কায়জার।কয়েকমাস পূর্বেও বিজিবি আটক করে কায়জারকে। সর্বশেষ কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাজ্জাক মেম্বারের উপর সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম আসামী বহুল আলোচিত কায়জার।কায়জার বারবার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে অদৃশ্য ক্ষমতা তদবীরের বলে থাকছে ধরাছোয়ার বাইরে। এবারও কায়জার নিজেকে বাঁচাতে সব্বোর্চ শক্তি দিয়ে শুরু করেছে তদবীর।এমনকি তার নামে সংবাদ যেন প্রকাশ না করা হয় তারও তদবীর শুরু করেন।দামুড়হুদা- জীবননগর সার্কেল এএসপি কলিমউল­াহ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে যদি কায়জারের নাম উঠে আসে তবে তাকে আটক করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে কোন ছাড় হবেনা।মাদক সম্রাট কায়জারকে আইনের আওতায় আনতে ও রফিকুলের কলেজপুড়ুয়া শাহ আলমের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম এর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।