কালিগঞ্জের এক ইঞ্চি আবাদি জমিও যেন পতিত না থাকে : সাঈদ মেহেদী

কালিগঞ্জে ফসল কর্তনোত্তর ব্যবস্থাপনা ও প্রাথমিক প্রক্রিয়াকরণ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। (২ জুন) বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের গোলখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট(এস এ সিপি) কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আওতায় এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খান মিরাজ হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইকবাল আহমেদ, উপজেলা কৃষি মার্কেটিং ফ্যাসিলিটেটর আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

এ বিষয়ে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা চাই উপজেলার এক ইঞ্চি আবাদি জমিও যেন পতিত না থাকে। জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

করোনা পরিস্থিতিতে দেশে সর্বোচ্চ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। বর্তমানে দেশে প্রায় ১১ কোটি একর পতিত বা অনাবাদি জমি রয়েছে, যা মোট জমির প্রায় ৫ শতাংশ। ধরন অনুযায়ী এই জমিতে ফসল বা সবজি চাষ করতে হবে। আবাদযোগ্য কোনো জমি পতিত রাখা যাবে না। পতিত কৃষিজমিতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে যাচ্ছে সরকার।

যেসব জায়গায় ধান বা আলু উৎপাদন ভালো হয় না তা চিহ্নিত করে ভুট্টা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যেখানে যে ফসল বা সবজি হয় সেখানে তাই করতে হবে। মোট কথা কোনো জমি পতিত রাখা যাবে না।