কুবি’তে শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে জয়লাভ নন্দী-বিদ্যুৎ প্যানেলের

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ২০২২ এ জয় লাভ করেছে আওয়ামীপন্থী বঙ্গবন্ধু পরিষদের (একাংশ) নন্দী-বিদ্যুৎ প্যানেল।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন শেষে রাতে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের (একাংশ) নন্দী-বিদ্যুৎ প্যানেল হতে সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী। তিনি পেয়েছেন ১১৭ ভোট। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রার্থী ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিকী পেয়েছেন ৮৪ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ১১৫ ভোট। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রার্থী ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ এমদাদুল হক পেয়েছেন ৮৮ ভোট।

এছাড়া নন্দী-বিদ্যুৎ প্যানেলের অন্যান্য জয়ী প্রার্থীরা হলেন, সহ-সভাপতি পদে ড. মিহির লাল ভৌমিক, মো. আমান মাহবুব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হায়াত, কোষাধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ রাজু , সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ুন কাইসার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক।

কার্যকরী সদস্যের ৭ টি পদে যথাক্রমে ড. মো. কাউছার আহমেদ পাটওয়ারী, সিদ্দিকুর রহমান, ফরহাদ হোসেন, ড. মো. শামিমুল ইসলাম, তারিক হোসেন, মশিউর রহমান, ড. মেহের নিগার বিজয়ী হয়েছেন।

নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতির ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান বলেন, সবাই আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছে। যারা জয়লাভ করেছে তাদের অভিনন্দন জানাই এবং যারা জয়লাভ করে নি তাদের ও অভিনন্দন জানাই, কারন আপনাদের সকলের সহযোগিতায় নির্বাচন সুষ্টুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচনে ১৫ টি পদের বিপরীতে নীল দলের ২টি প্যানেল থেকে ১৫ জন করে ৩০ জন এবং সাদা দল থেকে ৪ জনসহ মোট ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। মোট ভোট দিয়েছেন ২১২ জন।

উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী দুইটি অংশ আলাদা দুটি পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচন করেছে। কিন্তু সাদা দল নির্বাচন করেছে মাত্র চারটি পদে। কলা অনুষদের ডিন ড. এম এম শরীফুল করীম এবং মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকারের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী বড় একটি অংশ নির্বাচন বর্জন করায় সাদাদল পূর্ণ প্যানেল দিতে পারেনি বলে জানা যায়।