কেমন কাটলো ক্রিকেটের ২০২০?

২০২০ সালের শুরুতে করোনার শঙ্কার মধ্যেই চলছিল ক্রিকেট। তবে প্রকোপ বাড়ায় মার্চে ১১৭ দিনের নির্বাসনে যায় এই ভদ্রলোকের খেলা। ইংল্যান্ড-উইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে ফেরা জুলাইয়ে। বায়ো বাবল ছাড়াও কোভিড কালে নতুন নিয়ম বেঁধে দেয় আইসিসি। ব্যস্ত সূচির বেশিরভাগ ভেস্তে গেলেও অ্যান্ডারসন-ব্রডরা ছুঁয়েছেন মাইলফলক। উল্টোপিঠে ধোনি-আমিররা গুডবাই বলেছেন ক্রিকেটকে।

করোনার গ্রাস গোটা দুনিয়ার মতো ২২ গজেও ছড়াল ত্রাস। তারপরও শঙ্কার মধ্যেই চলছিলো ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা আর অজি-কিউইদের দ্বি-পাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ। তবে শ্রীলঙ্কায় এসেও আর মাঠে নামা হয়নি ইংলিশদের । মার্চে হঠাৎ বাড়লো প্রকোপ। অগত্যা ইংল্যান্ডে ফিরতে হলো রুটবাহিনীকে।

এরপর হল তাই, যা কেও কখনও ভাবে নাই। গোটা বিশ্বের ক্রিকেটে ঝুলল তালা। স্থগিত আর বাতিলের খাতায় আন্তর্জাতিক অনেকগুলো সিরিজ। বছরের মেগা ইভেন্ট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নারীদের আসর সুসম্পন্ন হলেও, নানা নাটকের পর ছেদ পড়লো পুরুষদের মাঠের লড়াইয়ে। সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে দর্শক শূন্য মাঠে এশিয়া কাপের সম্ভাবনাও গেলো ভেস্তে।

মরিচা ধরতে বসা ক্রিকেটারদের মনে স্বস্তি এল মে মাসে। বায়োসিকিউর বাবলের প্রবর্তন। জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরে এল ক্যারিবিয়ানরা। ১১৭ দিনের বিরক্তিকর বিরতির পর মাঠে গড়ালো ক্রিকেট। সঙ্গী হল নতুন কিছু নিয়ম। টাকা কেবল কথা বলেছে আইপিএলের স্বার্থে। মার্চে স্থগিত হলেও ঠিকই অক্টোবরে রুদ্ধদ্বার টুর্নামেন্ট হয়েছে দুবাইয়ে।

মাঠে গড়িয়ে চলমান বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজও। যেখানে প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে লজ্জাকর ৩৬ রানে গুটিয়েছিল বিরাট কোহলির ইন্ডিয়া। সপ্তাহজুড়ে ছিল আলোচনার কেন্দ্রতে। তবে রাহানের নেতৃত্বে বক্সিং ডে টেস্টে অজিদের হারিয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে ভারত।

এত অপয়ার মাঝেও ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁয়েছেন দুই ইংলিশ পেসার। জেমস অ্যান্ডারসন ৬০০ আর ব্রড ফাইভ হান্ড্রেড উইকেট ক্লাবে খোদাই করেছেন নিজেদের নাম।

মহামারীময় বছরে হঠাৎ করেই অবসরের সিদ্ধান্ত জানান ভারতের কিংবদন্তী উইকেটকিপিং ব্যাটসম্যান মাহেন্দ্র সিং ধোনি। আর চলতি মাসেই অভিমানে বড় অকালে নিজেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরিয়ে নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার মোহম্মদ আমির।

সবার ফেরা হলেও এখনও আন্তর্জাতিক সার্কিটে ফেরা হয়নি বাংলাদেশের। আক্ষেপ কেবল একটাই।