কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে রাস্তায় নেমেছে ছাত্রলীগ

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে মাঠে নেমেছে কক্সবাজারের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে পৌরশহরের বিমানবন্দর সড়কের পাশে পড়ে থাকা বর্জ্য অপসারণ দিয়ে এ যাত্রা শুরু করেছেন তারা।

বর্জ্য অপসারণে নেতৃত্ব দেয়া কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মইন উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশব্যাপী চলছে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর কোরবানির ঈদ উদযাপন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পাড়া-মহল্লায় দেয়া হয়েছে অসংখ্য পশু কোরবানি। গ্রামে খোলা জায়গায় পশু জবাই হলেও শহরের সংকীর্ণ এলাকায় পশু জবাই হয়েছে রাস্তার ধারে, পথের উপর। কক্সবাজার পৌর শহরেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। কিন্তু অনেকে জবাই করা পশুর নিথর দেহটা উঠানে কিংবা বাসাবাড়ির বারান্দায় নিয়ে মাংস কাটাকাটি ও ভাগ বসানো নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু বর্জ্যগুলো তৎক্ষণাত অপসারণ হয়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তাপ বাড়ায় দুর্গন্ধ ছড়ানো শুরু করে বর্জ্যগুলো।

তিনি আরও জানান, পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা সিডিউলে উপসড়কগুলোতে কবে আসবেন তার সঠিক সময় নির্ধারণ নেই। তাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দলবদ্ধ হয়ে বর্জ্য অপসারণে মাঠে নেমেছি।

মইন জানান, পশু জবাই করা স্থানগুলো পরিষ্কার করে সেখানে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দুর্গন্ধ মুক্ত করার চেষ্টা করছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিমানবন্দর সড়ক হিসেবে এটি ভিআইপি এলাকা। ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে আসা পর্যটকরা বিমান থেকে নেমে এ সড়ক দিয়েই হোটেল ও গেস্ট হাউসে যাচ্ছে। বর্জ্যের দুর্গন্ধে পর্যটক এবং স্থানীয়রা নাকে রুমাল দিয়ে চলছে দেখে আমরা তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে মাঠে নেমেছি।

দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে বাসাবাড়ি থেকে পাইপ টেনে পানি দিয়ে রাস্তায় জমে থাকা রক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন। পশুর নাড়ি-ভুড়ি-হাড়-বর্জ্য একটা নির্দিষ্ট স্থানে জমা করে পরে বালতি ভরে সেগুলো দূরবর্তী ডাস্টবিনে রেখে আসা হয়। মেয়রের এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বর্জ্য অপসারণে নেমেছে খবর পেয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরাও কাজে নেমেপড়ে বলে জানায় স্থানীয়রা।

কক্সবাজার পৌর মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, পর্যটন নগরীর বাসিন্দা হিসেবে নিজ এলাকা পরিষ্কার রাখতে পৌরসভার পাশাপাশি নিজেদেরও যে দায়িত্ব রয়েছে সেটাই তারা প্রমাণ করেছে। কক্সবাজার পৌর ও ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বর্জ্য অপসারণে নেমে যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে তা আগামীতে পরিচ্ছন্ন দেশ গঠনে তাদের অনুপ্রাণিত করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পৌর মেয়র জানান, কক্সবাজার পৌর এলাকার ১২টি ওয়ার্ডের ৬১ স্পটে এবার কোরবানির পশু জবাই করার স্থান নির্ধারণ করা হয়। এরপরও কিছু কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে পশু জবাই হয়েছে। সেসব এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ক্রমে বর্জ্য অপসারণ করছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের পূর্বে সদর আসনের এমপি সাইমুম সরোয়ার কমল, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।