কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা : পাল্টাপাল্টি ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল দুদেশ

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর সদস্যরা সোমবার থেকে ২০০টি বিমান নিয়ে তাদের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে। এ মহড়া শুরুর পর উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হয় এগুলো উসকানিমূলক, এসব কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে উত্তর কোরিয়া।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই বুধবার নতুন করে আরও ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। এর জবাবে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দক্ষিণ কোরিয়াও। সব মিলিয়ে দুই দেশ এক সকালেই ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।

উত্তর কোরিয়ার ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলীয় জলসীমার কাছে। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে উত্তর কোরিয়ার এ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ল। খবর রয়টার্সের।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল এ ঘটনাকে আঞ্চলিক আক্রমণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি কার্যকরীভাবে একটি আঞ্চলিক আক্রমণ।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়াকে জবাব দিতে এনএলএল সীমারেখার কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান তিনটি এয়ার টু গ্রাউন্ড ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।

উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট ইওনের দপ্তর থেকে হুশিয়ারি দিয়ে বলা হয় ‘দৃঢ় ও কঠোর’ ব্যবস্থা নেওয়া হবে যেন ‘উত্তর কোরিয়া উস্কানির মূল্য দেয়’। এমন হুশিয়ারি দেওয়ার পরই পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে দেশটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, উত্তর কোরিয়ার উপকূলীয় এলাকা ওনসান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছিল তিন ধরনের স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটি। পরবর্তীতে জেসিএস জানায়, সবমিলিয়ে কয়েক ধরনের ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া।

জেসিএস বলেছে অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র এনএলএল সীমারেখার ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওলেউং দ্বীপ থেকে ১৬৭ কিলোমিটার দূরে আছড়ে পড়ে। এসব জায়গায় কয়েকবার সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়।