নরসিংদীর রায়পুরায় মানসিক ভারসাম্যহীনঅসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন সংবাদকর্মী রুদ্র

নরসিংদী রায়পুরা উপজেলা মরজাল বাসষ্ট্যান্ড ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মানসিক ভারসাম্যহীন অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন সংবাদকর্মী রুদ্র।
প্রচন্ড গরম তীব্র তাপদাহের কারনে অতিষ্ঠ নগর জীবন।

এই পরিস্থিতিতে নগরীর রায়পুরা উপজেলা মরজাল বাসষ্ট্যান্ড ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ছিন্নমূল, ভাসমান মানুষকে হোটেল থেকে খাবার কিনে খাওয়ান সাইফুল ইসলাম রুদ্র।

জানা যায়, উক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি ০৪ দিন ধরে অনাহারে ছিলেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পঁচন ধরে গেছে। চেষ্টা করেও নাম জানা যায়নি এই ব্যক্তির। ঠিকানাও জানাতে পারেননি তিনি। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হোটেল থেকে খাবার এনে খাওয়ানো হয়।
বিভিন্ন সময় সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্র নিজস্ব উদ্যোগে অসহায় পথচারীদের পাশে দাড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে এই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক বলেন, আমি দীর্ঘ ০৪ বৎসর যাবত পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যেখানে সেখানে রাত কাটাচ্ছি। অথচ আমার আপন ভাই আমাকে ঢাকা সেনানিবাসের সামনে রেখে পালিয়ে যায়। আমি এখন ০৪ দিন যাবত না খেতে পেরে এক বাসে উঠে এই বাজারে আসছি। আমাকে একটু ভাত খাওয়ালে আমি খুবই খুশি হতাম।

এ কথা শুনে সংবাদকর্মী রুদ্র তাৎক্ষনিক হোটেল থেকে খাবার কিনে এনে খাওয়ান ও তার শরীরে থাকা ০৩টি স্পটে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাওয়ার পরে তাকে এখন মরজাল বাসষ্ট্যান্ডে রাখা হয়েছে।

সংবাদকর্মী রুদ্রর বক্তব্য অনুযায়ী মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি আল্লাহর সৃষ্টি করা মানুষই। কাউকে ঘৃনা করা যাবে না। তাই এই যুবককে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মরজাল বাসষ্ট্যান্ড সমতা বাজারে রেখেছি। এ যুবককে কেউ যদি চিনে থাকেন ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান তাহলে এই নাম্বারে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন: ০১৭৭৫১৪৯৩৭৮।

আপনাদের একটু সহযোগিতায় এই যুবকটি ফিরে পেতে পারে তার পরিবারকে বা একটু চিকিৎসা পেলে হয়তো সে সুস্থ্য জীবনে ফিরতে পারবে। এই নাম্বারে যোগাযোগ করে যে কোন সহযোগিতা পাঠাতে পারেন।

মরজাল বাসষ্ট্যান্ডের এক ব্যবসায়ী গণমাধ্যমকর্মীদেরকে বলেন, দীর্ঘ ০৫ বছর যাবত আমি মরজাল বাসষ্ট্যান্ডে ব্যবসা করে আসছি। প্রায় সময়ই দেখি সাংবাদিক রুদ্র ভাই বিভিন্ন অসহায় পথচারীদের মাঝে খাবার, কাপড় ও চিকিৎসা দিয়ে সহায়তা করে আসছেন। আজকেও এই পাগলকে কেউ সহায়তা করেননি। অথচ তিনি এগিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার দিয়ে সহায়তা করেছেন।

রায়পুরা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদেরকে জানান, রুদ্র সাহেবের কাজ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছেন। তাই আমাদের সমাজসেবা অধিদফতরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি যে কোন সময় অসহায় মানুষদের সহায়তার লক্ষ্যে আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে আমরা সর্বদা উনাকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।