গাইবান্ধায় সাম্যবাদী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

নিত্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শ্রমজীবি-নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সারাবছর কাজ ও রেশনের দাবিতে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন গাইবান্ধা জেলা শাখা গতকাল শনিবার জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথ সভাগুলোতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য মনজুর আলম মিঠু, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম আকাশ, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট নেতা প্রভাষক জাহিদুল হক, সবুজ মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান সংকটের মূল কারণ শোষণ ও বৈষম্যমূলক সমাজ ব্যবস্থা। এই আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার কারণে মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে অঢেল স¤পদ জমা হচ্ছে। দেশের সংখ্যাগরীষ্ঠ মেহনতি মানুষের জীবন অন্তহীন সংকটে নিমজ্জিত হচ্ছে। এ অন্যায়-অন্যায্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করার জন্যেই ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তাই শ্রমিক-কৃষক-নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষের ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে শোষনহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তারা অবিলম্বে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার, নিত্যপণ্য রেশনে সরবরাহসহ সকল কর্মক্ষম মানুষের চাকুরী এবং সকল বয়স্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধীদের মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা নিশ্চিত, ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন উচ্ছেদ করে জনগনের ভোটাধিকারসহ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, সকল কর্মক্ষম মানুষের চাকুরী দেয়ার জোর দাবী জানান।

বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হয়নি। সাধারণ মানুষের জীবনে ভাত-কাপড়-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসার নিশ্চয়তা আসেনি। শোষন-লুটপাটের বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও আদর্শহীন রাজনীতির শাসন ও শোষণে গত ৫১ বছরে দেশে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, সন্ত্রাস, ঘুষ-দুর্নীতি- লুটপাট, বিকারগ্রস্থ সংস্কৃতি, মাদকের ছড়াছড়ি, সবকিছু মিলে মানুষ এখন দিশেহারা।

রাতের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিত্বহীন আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দেশে এক চুড়ান্ত ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে। আন্তঃসারশূন্য শোষক শ্রেণির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ৫ বছর পর পর ভোট দেওয়ার যে অধিকার মানুষের থাকে, তাও মহাজোট সরকার ছিনিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।