গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভটভটির ধাক্কায় চালকসহ ৩ জনের মৃত্যু

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভটভটির (নছিমন) ধাক্কায় আশরাফুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ইজিবাইকের চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইজিবাইকে থাকা আরও চার যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত তিনজন মারা যায়।

শুক্রবার (২২ মার্চ) নামাজের জানাজা শেষে তিনজনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইজন এবং গতকাল রাতে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের কুমারগাড়ি এলাকার মৃত ভোলা মিয়ার ছেলে মুত্তালিব মিয়া, একই গ্রামের বুধা শেখের ছেলের সবুজ মিয়া ও মজিবুর রহমানের ছেলে ইজিবাইক চালক আশরাফুল ইসলাম। এ ঘটনায় বেলাল মিয়া (৪৫) ও আমিরুল ইসলাম (৩৩) নামে দুইজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কুমার গাড়ি এলাকা থেকে একটি ইজিবাইকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে নাকাইহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। ইজিবাইকটি নাকাইহাট-গাইবান্ধা সড়কের বড়পুল এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা মাটির হাড়ি ভর্তি একটি ডিজেল ইঞ্জিন চালিত ভটভটি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের চালক আশরাফুল ইসলাম মারা যান।

ইজিবাইকে থাকা চার যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মোত্তালেব মিয়া ও সবুজ মিয়া মারা যান।

কুমারগাড়ী এলাকার প্রতিবেশী মোনারুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার গ্রামের মসজিদের ইফতার পার্টি ছিল। সেই ইফতার সামগ্রী কিনতে তারা একটি ইজিবাইক যোগে নাকাইহাটে বাজার করতে যান। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনই আহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ঘটনার পর পরই দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় প্রথমে ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয় পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুজন মারা যান।তিনি আরও বলেন, ঘাতক ডিজেল ইঞ্জিন চালিত নসিমনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।