গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবিতে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন দিলো ইউজিসি

গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের পরে বিভাগ খোলার ৩ ব্যাচ পরে অনুমোদন পেয়েছে ইতিহাস বিভাগ। সেই সাথে শেখ হাসিনা আইসিটি ইনস্টিটিউট এর অধীনে থাকা কয়েকটি বিভাগকে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীন একই বিভাগের সাথে একীভূত করার অনুমোদনও দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা (অতিরিক্ত) মোহাম্মদ আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বশেমুরবিপ্রবিতে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনসহ বিদ্যমান সমস্যাবলীর সমাধান উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া বিজ্ঞপ্তিত ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের পাশাপাশি বশেমুরবিপ্রবির বিদ্যমান সমস্যাবলীর সমাধান দেওয়া হয়েছে। সমাধানগুলো হলো, প্রস্তাবিত কৃষি অনুষদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একইসাথে শেখ হাসিনা কৃষি এর অধীন কৃষি, লাইভস্টোক সাইন্স এন্ড ভেটোনারি মেডিসিন এবং ফিসারিজ ও বায়োসায়েন্স বিভাগ কৃষি অনুষদের অধীনস্থ হিসেবে গণ্য করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ইনস্টিটিউট অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিলওয়াবস), শেখ হাসিনা আইসিটি ইনস্টিটিউট ও শেখ হাসিনা কৃষি ইনস্টিটিউট শুধু গবেষণা কার্যে ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ, এসকল ইনস্টিটিউট হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা যাবে না, এমফিল, পিএইচডি, সার্টিফিকেট এবং ডিপ্লোমা প্রদান করা হবে।

এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমতি ব্যতীত নতুন কোনো বিভাগ না খোলা ও স্নাতক পর্যায়ে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রনয়ণ করে দিয়েছে ইউজিসি। স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কলা, মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ জন এবং বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি। সেই সাথে স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে আদিবাসী প্রতিবন্ধী কোটা ব্যতীত উপাচার্য কোটাসহ সকল কোটা রহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনে আজ (৮ ডিসেম্বর) বিকালে আনন্দ শোভাযাত্রার ডাক দিয়েছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।