চতুর্থ দিনের মতো চলছে আন্দোলন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল প্রভোস্ট বডির সবার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি ও অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখ গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধের ফলে রাস্তার উভয়পাশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাস, ব্যক্তিগত গাড়িসহ অন্যান্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত হামলা ও আন্দোলনকারী ছাত্রীদের বিভাগের শিক্ষক দ্বারা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী চলাপ্রু মারমা বলেন, আমরা চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। যান চলাচল আটকে দিচ্ছি। এছাড়া আমরা সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষাও বর্জন করেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে দ্রুত বাস্তবায়ন করার কথা বললেও তা মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে হলের ওয়াইফাই সমস্যা, খাবারের মানসহ যাবতীয় সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধানে আশ্বস্ত করেন উপাচার্য। হলের ছাত্রীদের দাবি করা বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে একজন সহকারী প্রভোস্টকে ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়। হল প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজা করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছুটিতে থাকায় সহযোগী অধ্যাপক জোবেদা কনক খানকে প্রভোস্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্ট বডির সবার পদত্যাগের পাশাপাশি হামলার ঘটনার বিচার দাবি করছেন।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। তবে হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ।

গত ১৩ জানুয়ারি দিনগত রাত থেকে দফায় দফায় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।