চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকে নিপুণের প্রার্থিতা বৈধ : আপিল বিভাগ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (২১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।

একইসঙ্গে চিত্রনায়ক জায়েক খানকে সম্পাদক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণকে আপিলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

এর ফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে নিপুণের বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিপুণ আক্তার। এফডিসিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর জায়েদ-নিপুণের পদ দিয়ে দ্বন্দ্ব ও আদালত অবমাননার বিষয়ে আপিল বিভাগের শুনানি পিছিয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

গত ১৩ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে চেম্বার আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খানকে কঠোরভাবে পালন করতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

গত ৮ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার আদেশের পরও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসায় নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন জায়েদ খান।
বিজ্ঞাপন

এর আগে ৩ মার্চ ওই পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুণ আক্তার।

সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করা হয়।

চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে। এতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।

এছাড়া ভোটে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। পরে অভিনেতার প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান এ ঘোষণা দেন।