চুয়াডাঙ্গায় বই উৎসব পালিত

প্রতি বছরের ন্যায় বই উৎসব পালন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। রবিবার (০১ জানুয়ারী) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জ মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বই বিতরণের মধ্যদিয়ে এ বই উৎসব পালিত হয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খাঁন।

সেসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহাজাদী মিলি, উপজেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার কুন্ড, সহকারী শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল ইসলাম, আবিদ আজাদ, বিএম রফিকুল ইসলাম ও মাসুমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু প্রতি বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরোপুরি বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছিল।

প্রতি বছরের ন্যায় এ জেলায় বছরের ১ম দিনেই আনন্দঘন মুহূূর্তের মধ্যদিয়ে বই উৎসব পালন করা হয়েছে ঠিকই। তবে প্রতিবারের মত এ উৎসব পালন করা হলেও প্রাথমিকের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত সব বই পায়নি শিক্ষার্থীরা।
তাদেরকে ৬টি বিষয়ের ওপর বই প্রদান করার নিয়ম থাকলেও সঙ্কটের কারণে (১ জানুয়ারী ২০২৩) সালের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা বই পেয়েছে মাত্র ২/৩টি বিষয়ে ওপর।

চুয়াডাঙ্গা জেলা স্কুল ভিক্টরিয়া জুবিলি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চুয়াডাঙ্গা সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালসহ জেলায় ৩য় শ্রেণীর বাংলা ইংরেজি ও বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বাকী রয়েছে অংক, সমাজ ও ইসলাম ধর্ম। ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলা ও বিজ্ঞান বই বিতরণ করা হয়েছে। বাকী রয়েছে এখনও অংক, সমাজ, ইসলাম ধর্ম, ইংরেজি বিষয়ের বই।

তবে এতে করে সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগের মত বই উৎসবের যে আনন্দ তা পুরোপুরি ফুটে উঠতে দেখা যায়নি ওইসকল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে। বছরের প্রথম দিনে সব বই না পাওয়ায় তেমন একটা খুশি হতে পারেনি শিক্ষার্থীসহ অভিভাবদের।

অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা বলছে প্রতি বছর প্রাথমিকের সব বই একসাথে দেয়া হয়। এবার শুধুমাত্র ২/৩টি বিষয়ের ওপর বই বিতরণ করা হয়েছে। এতে করে আমাদের সন্তানদের লেখাপড়ায় মনোযোগ প্রথম থেকে হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ওইসকল শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া থেকেও পিছিয়ে পড়বে। লেখাপড়ার ঘাটতিতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ফলাফলও ভালো না হওয়ার শঙ্কা তৈরী হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১১০টি, এসেছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ২৭৫টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় চাহিদা ছিল ৬ লাখ ৭ হাজার ১০০টি, এসেছে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ১৫০টি, দামুড়হুদা উপজেলায় চাহিদা ছিল ৩ লাখ ৭৩ হাজার ২৭৫টি, এসেছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৫০০টি ও জীবননগর উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫০টি, এসেছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৮০টি। ৪টি উপজেলায় এখনও বাকী রয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৮০টি বই।
তাড়াতাড়িই ওইসকল বই চুয়াডাঙ্গায় এসে পৌঁছাবে বলে জানা যায়।