ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে বরগুনার প্রথম নারী হাসি

বাংলাদেশে আড়াই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলের চালকের আসনে নারী। দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিরোধী দলের নেতা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী। জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ৫০টি আসন আছে। বাংলাদেশের নারীরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন। এসব অর্জন আমাদের আশাবাদী করে।

কিন্তু এখনো রাজনৈতিক দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের তেমন অংশগ্রহণ নেই। ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যনির্বাহী কমিটিগুলোতে ১ থেকে ২ শতাংশ নারী আছেন।

কিন্তু এর পরিবর্তন ঘটাতে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের ছাত্র রাজনীতিতে ঘটছে নতুন ধারা। দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বাড়ছে নারী নেতৃত্ব। বর্তমানে দেশের অন্যান্য দল থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগে নারী নেতৃত্বকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করা হয় এবং মেয়েদের জন্য রাজনীতিতে রয়েছে সু-শৃঙ্খল পরিবেশ।

ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনটি তৃণমূল ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যারা নিবেদিতপ্রাণ তাদের স্থান দিচ্ছে জেলা, উপজেলা, নগর, মহানগর কিংবা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে।

সর্বশেষ তারই এক প্রমান দিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিবেদিতপ্রাণ এক কর্মীকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে এনে। দেশের সর্বদক্ষিণের জেলা বরগুনার প্রথম কোন নারীকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত করলেন সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত প্যাডে ইডেন মহিলা কলেজের গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান হাসিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য পদে মনোনিত করে চিঠি পাঠানো হয়।

নব নির্বাচিত কার্যকরী সদস্য নুসরাত জাহান হাসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে অঙ্গীকার পূরণ করতে হলে তৃণমূল পর্যায় থেকে নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার ওপর জোর দিতে হবে। তবে সংখ্যা পূরণই একমাত্র প্রতিকার নয়। রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে এমন উন্নত পর্যায়ে নিতে হবে, যেখানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণে আগ্রহী হয়।

নুসরাত জাহান হাসি স্কুল জীবন থেকেই যুক্ত হন ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে। বর্তমানে তিনি ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। এছাড়াও বরগুনা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।