জনপ্রিয় অভিনেত্রী সেই মাহিমা এখন কোথায়?

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিমা বড়পর্দা থেকে বহুদিন হলো বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু ‘পরদেশ’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য এখনো সিনেমাপ্রেমীরা তাকে মনে রেখেছেন। তিনি হলেন- বলিউড অভিনেত্রী মাহিমা চৌধুরী। বড়পর্দায় সাফল্য পেলেও ব্যক্তিগত জীবনে একেবারেই সুখী হতে পারেননি তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ২০০০ সালে মাহিমা টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজের প্রেমে পড়েন। দুজনের আলাপ হয় এবং কিছুদিনের মধ্যেই গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। সেই সময় প্রতিটা টেনিস ম্যাচের সময় মাহিমাকে দেখা যেত কোর্টে উপস্থিত থাকতে।

বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু ২০০৩ সালে গুজব শোনা যায় লিয়েন্ডার নাকি মডেল রিয়া পিল্লাইয়ের সঙ্গে লুকিয়ে প্রেম করছেন। প্রথমদিকে মাহিমা সেইসব গুজবে কান দেননি। কিন্তু একদিন তিনি লিয়েন্ডারকে হাতে নাতে ধরলেন রিয়ার সঙ্গে। ভেঙে গেল মাহিমা ও লিয়েন্ডারের সম্পর্ক।

এর কয়েক বছর বাদে ২০০৬ সালে মাহিমার আলাপ হয় কলকাতার আর্কিটেক্ট এবং তার ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ববি মুখার্জির সঙ্গে। দুজনের মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হতে লাগলো।

সেই সময় ববির ক’দিন হলো তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই মাহিমা বুঝলেন ববিকে ছাড়া তিনি থাকতে পারবেন না। তাই দুজনে চুপি চুপি ১৯ মার্চ‚ ২০০৬ সালে লাস ভেগাসের একটা হোটেলে বিয়ে করে নিলেন। এর কিছুদিন পর ২৩ মার্চ তাদের বাঙালি মতে আবার বিয়ে হয়।

বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই দেখা গেল মাহিমা প্রেগন্যান্ট। এতদিন তিনি বিয়ের কথা লুকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু এইবার তা সামনে আনতেই হলো। নিন্দুকেরা বলল বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন মাহিমা তাই বিয়ে ঘিরে এত গোপনীয়তা ছিল।

যাইহোক‚ এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় মাহিমা। কিন্তু মেয়ে জন্মানোর পর থেকেই ববির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে মহিমার। কিন্তু তাও ২০১১ অবধি মাহিমা ববির সঙ্গেই ছিলেন। অবশেষে তিনি মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

আজ অবধি ববির সঙ্গে মাহিমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। মাহিমার ভাই এখনো আশা করেন একদিন মাহিমা আর ববি আবার এক হবেন। কিন্তু এই ব্যাপারে যখনি মাহিমাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি চুপ থেকেছেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাহিমা জানিয়েছেন কেন তিনি বড়পর্দা থেকে বিদায় নেন। তার কথায়, ‘আমি একজন সিঙ্গল মাদার তাই আমাকে অর্থ উপার্জন করতে হতো। একটা বাচ্চাকে নিয়ে সিনেমাতে অভিনয় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিল। মেয়েকে অনেকটা সময় দিতে হতো। তাই ছোটপর্দায় কয়েকটা রিয়েলিটি শো-তে আমি বিচারকের ভূমিকা নেই। এ ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি ফিতে কাটতে থাকি‚ পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্স করি। এইসব কাজ করা বেশ সোজা। এতে ভালো অর্থও উপার্জন হয় আবার মেয়েকে সময়ও দিতে পারতাম।’