জনসংখ্যার আধিক্য দিয়েই মধ্যম আয়ের দেশে তুলে এনেছেন শেখ হাসিনা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের অধিক জনসংখ্যাকে অনেকেই বোঝা মনে করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বোঝা হিসেবে দেখেন না। মূলত জনসংখ্যার আধিক্য দিয়েই তিনি বাংলাদেশকে একটি কর্মক্ষম ও সক্ষম মধ্যম আয়ের দেশে তুলে এনেছেন।

মন্ত্রী বুধবার (২ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে পরিকল্পিতভাবে নারী-পুরুষের সমতা এনেছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশে নারীর ক্ষমতায়নে নীরব বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন। বর্তমানে দেশের সরকারি বা বেসরকারি যেকোনো অফিসে গেলে পুরুষ ও নারীর প্রায় সমান উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। দেশের পোশাক শিল্পে ৭০ ভাগ নারী যেমন কাজ করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে, তেমনি সরকারি চাকরি করে, শিল্পে, ব্যবসা-বাণিজ্য, এমনকি কৃষিতেও নারীরা এখন সমান তালে এগিয়ে এসেছে। শিক্ষকতা পেশায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের জন্য বিশেষ কোটা ব্যবস্থা করে নারীর ক্ষমতায়ন জোরালো করেছেন। রাজনীতিতেও তিনি নারীদের অবস্থান শক্ত করেছেন। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারসহ ৬৫ জন সদস্য নারী। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ইউনিয়ন পরিষদেও নারীদের জন্য বিশেষ আসন নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বাল্যবিবাহ এখনো থামানো যায়নি। এটি একেবারে নির্মূল করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশে বর্তমানে দরিদ্রতা ১৫ ভাগ রয়েছে। দেশের মানুষকে দরিদ্র রেখে সামনে এগিয়ে চলা কঠিন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৮০ শতাংশ দরিদ্র হার থেকে কমিয়ে এনে এখন মাত্র ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছেন। এর পাশাপাশি, মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশে বর্তমানে সিজারিয়ানের কাজ বেশি হচ্ছে জানিয়ে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রাইভেট সেক্টরে সি সেকশান (সিজারিয়ান) বেশি।

‘জেন্ডার সমতাই শক্তি: নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে।

আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিট। অনুষ্ঠানে জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখায় বিশিষ্ট ৪ ব্যক্তি ও ৭টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ টিটো মিঞা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর, UNFPA Bangladesh এর প্রতিনিধি Kristine Blokhus প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।