ভোমরা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত বাস চলাচল শুরু, যাত্রীদের উচ্ছ্বাস

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

এর ফলে সাধারণ যাত্রীদের অর্থ ও সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস জটিলতা কমে আসবে বলে দাবি ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদারের।

মঙ্গলবার ভোমরা স্থলবন্দরে একটি বেসরকারি পরিবহণের কাউন্টারে বাংলাদেশ-ভারত বাস চলাচল উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে গ্রিনলাইন পরিবহণের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন। আর ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা গ্রিনলাইন পরিবহণের স্বত্বাধিকারী সঞ্জয় মজুমদার।

উপ-পরিচালক মামুন জানান, পরীক্ষামূলকভাবে সাতক্ষীরা থেকে কলকাতা বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। প্রথমদিন অল্প সংখ্যক পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে গেছেন। এক মাস পর থেকে পুরোদমে এই বাস চলবে।

বাংলাদেশ গ্রিনলাইন পরিবহণের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার বলেন, “কম খরচে সহজেই ভোমরা বন্দর দিয়ে ভারতে যেতে পারবেন যাত্রীরা। এক বছর আগে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়, তার সফল বাস্তবায়ন হয়েছে।

“অনেক আগে থেকেই বেনাপোল হয়ে ঢাকা-কলকাতা বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। সেখানে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার জটিলতা রয়েছে। তবে ভোমরা বন্দরে সময় লাগবে মাত্র আধা ঘণ্টা।”

গ্রিনলাইন পরিবহণ ভারতের স্বত্বাধিকারী সঞ্জয় মজুমদার বলেন, “আপাতত এপার থেকে ওইপারে যাত্রী নিয়ে বাস বদল করে কলকাতায় যেতে পারবেন যাত্রীরা। মাসখানেক পর থেকে একটানা কলকাতায় বাস যাবে।”

জানা গেছে, ভোমরা স্থল বন্দর থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৭৫ কিলোমিটার। এটাই বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকটবর্তী। তাছাড়া ভোমরা ইমিগ্রেশন যাত্রীদের ভিড়ও কম। এই পথ দিয়ে ঢাকা থেকে সবচেয়ে কম সময়ে কলকাতায় যাতায়াত করা যাবে।

দুই দেশের মধ্যে বাস চলাচলে শুধু যাত্রীরা উপকৃত হবেন তা নয়; এর মধ্য দিয়ে বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্যেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ভোমরা স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান।