জবি আইটি সোসাইটির ৭ম বর্ষে পদার্পণ

“প্রযুক্তির সাথে আগামীর পথে” বক্তব্যকে সামনে রেখে ২০১৫ সালের ১১ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংগঠন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি’। ২০১৫ সালে তৎকালীন জবি উপাচার্য ড. মীজানুর রহমানের অনুমতিক্রমে ১১ই নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এই সংগঠনটি। সে বছর থেকেই ১১ই নভেম্বর জবি আইটি সোসাইটির জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়ে আসছে।

বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করে তোলার জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয় আইটি সোসাইটি। পরিসংখ্যান বিভাগের হাসান মাহমুদ(৫ম ব্যাচ), হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইসলাম শাওন(৮ম ব্যাচ), বাংলা বিভাগের জাহিদুল ইসলাম রাফি(৮ম ব্যাচ),গণিত বিভাগের রাকিব হোসেন ও চারুকলা বিভাগের সোহাগ হোসাইনের(৯ম ব্যাচ) হাত ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এ সংগঠন। প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরেই জবি সিএসই বিভাগের তৎকালীন (এবং বর্তমান) চেয়ারম্যান ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্যকে এই সংগঠনের মেন্টর হিসেবে সম্পৃক্ত করা হয়। পরবর্তীতে হাসান মাহমুদকে আহ্বায়ক ও শরিফুল ইসলাম শাওনকে সদস্য সচিব করে ঘোষিত হয় সংগঠনের প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটি। প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতি হিসেবে শরিফুল ইসলাম শাওন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাহিদুল ইসলাম রাফি দায়িত্ব লাভ করেন। এর দুই বছর পর ভোটিংয়ের মাধ্যমে সংগঠনের দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের আসিফ আহমেদ রোজেল(১০ম ব্যাচ) ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বাংলা বিভাগের ইমরান নাজির (১০ম ব্যাচ) নির্বাচিত হন। বর্তমানে জবি আইটি সোসাইটির তৃতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি চলমান রয়েছে। যেখানে সভাপতি হিসেবে ফিন্যান্স বিভাগের শামীম আহমেদ(১১তম ব্যাচ) ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একই বিভাগের মো: ইমন মিয়া(১২তম ব্যাচ) নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বরত আছেন।

জবি শিক্ষার্থীদেরকে তথ্য ও প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কাজ করে আসছে আইটি সোসাইটি। প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজনের মাধ্যমে সংগঠনটি শিক্ষার্থীদকে দক্ষ ও প্রযুক্তিনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করে। আইটি সোসাইটির আয়োজিত প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে রয়েছে : টাইপিং মাস্টার, পাওয়ার প্রেজেন্টার, সিভি রাইটিং, এক্সেল ফর এক্সিলেন্স, আইডিয়া কম্পিটিশন, অ্যাপস শো ক্যাসিং ইত্যাদি। তাছাড়া তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও শিখতে যাদের আগ্রহ আছে তাদের জন্য আইটি সোসাইটিতে রয়েছে ব্যাসিক কম্পিউটার কোর্স৷ ৬ মাসের এই কোর্স সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের সার্টিফিকেট৷

জবি আইটি সোসাইটির বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিশ্বিবদ্যালয়েও বাড়ছে সংগঠনটির গ্রহণযোগ্যতা। প্রত্যেক বছর প্রায় ২০০-৩০০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী নিজেদের প্রযুক্তির জ্ঞান বৃদ্ধি করে দক্ষ হয়ে উঠতে যুক্ত হচ্ছে এ সংগঠনে। এ বিষয়ে সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সংগঠনটির মেন্টর ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি বিশ্বিবদ্যালয়ের অন্যান্য সংগঠনগুলো থেকে স্বতন্ত্র। এ ধরনের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির নতুন নতুন বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে সক্ষম হবে যা পরবর্তীতে তাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

সংগঠনটির সভাপতি শামীম আহমেদ জানান, “৪র্থ শিল্প বিপ্লবে সে দেশগুলোই এগিয়ে থাকবে যারা তথ্যপ্রযুক্তিতে বেশি উন্নত। তাই তথ্যপ্রযুক্তিতে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করার জন্য এমন এধরনের সংগঠনের বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি।” তাছাড়া সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: ইমন মিয়া বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে আইটি সম্পর্কিত জ্ঞান এবং উদ্ভাবনী সবচেয়ে জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মেধা, মনন ও প্রতিভা বিকাশের স্থান এবং জবি আইটি সোসাইটি সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আইটি বিষয়ক প্রতিভা বিকাশে কাজ করে থাকে।”