জাতিসংঘের শান্তি বিনির্মাণ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি

জাতিসংঘের শান্তি বিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের গভীর প্রতিশ্রুতি আবারো তুলে ধরলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ তহবিলে আর্থিক সহায়তা বাড়ানো বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ এবং কানাডা, জার্মানি, সিয়েরালিওন ও সুদান সরকার যৌথভাবে সম্মেলনটি আয়োজন করে।

সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিবিনির্মাণ তহবিলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ দেয়ার ঘোষণা দেয়। এসময় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘কভিড-১৯ এর কঠিন সময়েও শান্তিবিনির্মাণ তহবিলে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া বিশ্বশান্তির প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিরই বহি:প্রকাশ।’

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি বাড়তি হিসেবে এই আর্থিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিলো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শান্তিবিনির্মাণ অর্থায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরিভাবে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বানও জানান। শান্তিবিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নেয়া দুটি রেজুলেশনের উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তিবিনির্মাণ তহবিলের জরুরি সম্পদ সংগ্রহের সব ধরণের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় সমর্থন জুগিয়ে যাবে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সমাজের সকল অংশ যেনো সমানভাবে এই তহবিলের সুফল ভোগ করতে পারে, তা নিশ্চিত হতে হবে।

শান্তিবিনির্মাণ তহবিলের ২০২০-২০২৪ বিনিয়োগ কৌশলে স্বেচ্ছা-অবদানকে উৎসাহিত করতে উচ্চ পর্যায়ের এই সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব, সিয়েরালিওনের রাষ্ট্রপতি, সুদানের প্রধানমন্ত্রী এবং কানাডা ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন।