জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারবর্গের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গত ১৬ আগস্ট “১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড এবং তৎপরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থার স্থবিরতা” শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মোঃ নুরুজ্জামান আহমেদ, এমপি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করিম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কমডোর (অব:) এম মুনিরুল ইসলাম।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলার শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন যার উদ্দেশ্য ছিল আলোকিত নাগরিক তৈরী করা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মোঃ নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি বলেন, ইতিহাসের প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুর আবির্ভাব আবার তিনিই নতুন ইতিহাস তৈরী করে গেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য সবাইকে শপথ গ্রহণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গভঙ্গ এবং ভারত বিভক্তির পরও আমাদের বর্তমান বাংলাদেশ পরাধীন ছিল। বাঙ্গালী জাতি প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ পায় তার মাধ্যমে। তিনি আরও বলেন, ঘাতকরা তাকে শেষ করতে পারেনি বরং আরও বড় শক্তি হিসেবে তিনি আমাদের অন্তরে জেগে আাছেন।

অনুষ্ঠানের আলোচক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করিম বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বলেন, এদেশের প্রেসিডেন্ট হবার পরও তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসাতেই থাকতেন।
তিনি আরও বলেন, যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিলেন আমাদের কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তারা তাকেই হত্যা করলো।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় বঙ্গবন্ধুর যে অবদান তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। তাকে হত্যার পর খুনীরা ইতিহাস বিকৃত করার পাশাপাশি তার সময়ে প্রণীত কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন বাধাগ্রস্থ করা হয়।
তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর লেখা ”অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বইটি পড়তে বলেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধরে রাখার অনুরোধ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কমডোর (অব:) এম মুনিরুল ইসলাম উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু জানেনা কিন্তু বক্তারা জানিয়ে দিলেন আমরা কোথায় দাড়িয়ে আছি এবং কোথায় যেতে হবে।
তিনি তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কতৃক অনুমোদিত নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের “বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র” এর পরিচয় তুলে ধরেন।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্্রটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গালাম রাব্বী এবং আইন বিভাগের ছাত্রী আসমাউল হুসনা প্রভি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখে।

পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত “১৫ই আগস্ট ইতিহাসের কালো অধ্যায় ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আন্তঃবিভাগীয় রচনা প্রতিযোগীতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ডিপার্টমেন্ট এর প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর বেনজির রহমান সঞ্চালনা করেন।

অনলাইন আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাহাবুব রহমান প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।