জাহাঙ্গীরনগরে ধর্ষণকাণ্ডে ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্প্রতি বহিরাগত এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরমধ্যে দুজনের শিক্ষা সনদ বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বহিষ্কৃতদের বাকিরা হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ ও মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, একই বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসানুজ্জামান ও ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান, এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর। এদের মধ্যে মোস্তাফিজ ও মুরাদের শিক্ষা সনদ বাতিল এবং বহিষ্কৃত সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে।

গত রবিবার বিকেল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে হলসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মোস্তাফিজুর ও বহিরাগত মামুনুর রশীদ মামুনের বিরুদ্ধে। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য ১৫ কর্মদিবসের সময় বেঁধে দিয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।