জাহাঙ্গীরনগরে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৫ জনের সনদ স্থগিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৫ জনের একাডেমিক সনদ স্থগিত এবং ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এদের মধ্যে তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছে।

রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, মূল অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান ও তাকে পালানোর পথ তৈরির নির্দেশদাতা শাহ পরানের সনদ স্থগিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে।

পাশাপাশি পালাতে সহায়তাকারী মো. মুরাদ হোসেন, সাগর সিদ্দিকী, সাব্বির হাসান সাগর ও হাসানুজ্জামানের সনদ স্থগিত, সাময়িক বহিষ্কার এবং ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া ধর্ষণের ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন হয়েছে। এতে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

তা ছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন লোক-প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক ও সদস্যসচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার (আইন) মাহতাব-উজ-জাহিদ।

সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সনদ স্থগিতের পাশাপাশি তাদেরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। ক্যাম্পাস বহিরাগতদের প্রবেশ ও অস্থায়ী দোকানপাট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া অছাত্র ও পোষ্যদের আবাসিক হল থেকে বের হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে। তারা বের না হলে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’