জিয়া এরশাদ খালেদা সবাই মানুষ হত্যা করেছে : প্রধানমন্ত্রী

ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা চলছে। এতে সভাপতিত্ব করছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। শনিবার (৭ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় গণভবনে এ সভার কার্যক্রম শুরু হয়।

জানা গেছে, সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি গোষ্ঠি সরকার উৎখাতের চেষ্টা করে যাচ্ছে।তিনি বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবাই মানুষ হত্যা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনোই ভোটে পিছিয়ে ছিলো না, নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভোটের মাঠে পিছিয়ে রাখা হয়েছিলো।

এসময় নিজস্ব অর্থায়নে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। একইসঙ্গে এবারের ঈদযাত্র নির্বিঘ্ন হওয়ায় যোগাযোগ মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত এ সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে শোকপ্রস্তাব পাঠ, ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও ১১ জুন কারামুক্তি দিবস, ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী, ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান, ৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়, সাংগঠনিক ও বিবিধ।

কার্যনির্বাহী সংসদের কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, জাতীয় সম্মেলন ঘিরে দলের এ সভাকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। এতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতি, জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ও সমসাময়িক জাতীয়-আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনাসহ সাংগঠনিক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, করোনা কাটিয়ে বড় পরিসরে এই প্রথম কার্যনির্বাহী সংসদের সভা হচ্ছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দলের আসন্ন জাতীয় সম্মেলন ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীসহ নানা কারণে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে দলের আসন্ন সম্মেলন কবে হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হবে। জেলা-উপজেলা শাখাগুলোর সম্মেলন হয়েছে কি না, সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছ থেকে এ রিপোর্ট নেবেন দলীয় সভাপতি। এ বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনাও দেবেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য মাঠের প্রস্তুতি এবং যেসব জেলায় দলীয় কোন্দল বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধানেও কথা বলবেন। এছাড়া বিভিন্ন জেলা শাখার নেতাদের অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে।