প্রধান বিচারপতি নিয়োগ

‘জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনে বিব্রতকর পরিস্থিতি হবে না’

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন হলেও তাতে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টে সাংবাদিকরা তার কাছে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এ কথা বলেন তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এতে সংবিধানের কোনো কিছু লঙ্ঘিত হয়নি।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে দেশের দ্বাদশ প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। আগামীকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে তাকে শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি।

এর আগে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। জ্যেষ্ঠতার কারণে তাকে প্রধান বিচারপতি করা হতে পারে এমন গুঞ্জন ছিল নানা মাধ্যমে। শেষ পর‌্যন্ত তিনি চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাননি।

এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন হলেও কোনো ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হবে না।

প্রধান বিচারপতির পদ থেকে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা গত ১০ নভেম্বব পদত্যাগ করার প্রায় দেড় মাস আগে তিনি ছুটিতে যান। আর তার ছুটির আবেদন করার পর ১ অক্টোবর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়া।

১৩ অক্টোবর এক মাসের জন্য বিদেশে যাওয়া সিনহার দেশে ফেরার কথা ছিল ১০ নভেম্বর। কিন্তু সেদিন তিনি না ফিরে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ১৪ নভেম্বর সেই পদত্যাগপত্র অনুমোদন করলেও সেটি কার্যকর হয় সিনহার পদত্যাগপত্রে সই করার তারিখ থেকে। সেই থেকে প্রধান বিচারপতির পদটি শূন্য আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো এত দীর্ঘদিন পদটি শূন্য থাকেনি।

এর আগে একবার ১৩ দিন দেরিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার নজির ছিল। সেটি হয়েছিল ১৯৯০ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালে। ১৯৯০ সালের ১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী অবসরে যান। এরপর ১৪ জানুয়ারি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।