ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ, জেলেদের মুখে হাসি

দক্ষিণের সাগর মোহনার ইলিশে ভরে গেছে চাঁদপুরের মোকামগুলো। কয়েকদিন ধরে উপকূল থেকে ট্রলার চেপে ইলিশের চালান আসছে। এতে চাঙা হয়ে উঠেছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে প্রজনন মৌসুম ৭ অক্টোবর থেকে বন্ধ হবে মাছ ধরা। মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ীদের দাবি, মাছ ধরার ভরা মৌসুম এখন। বর্তমানে ধরা পড়া মাছের পেটে ডিমের পরিমাণ খুবই কম। তবে মৎস্যবিজ্ঞানীরা বলছেন, দীর্ঘ গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতেই সরকারের নিষেধাজ্ঞার এ সিদ্ধান্ত।

চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মাছঘাট। দেশের অন্যতম ইলিশের মোকাম। ভালো দাম পাওয়া যায়, তাই মৌসুমের এই সময় একাধিক ট্রলারে ইলিশের চালান আসছে। মূলত দক্ষিণের সাগর মোহনায় ধরা পড়া ইলিশই, এই মোকামের প্রাণ। ফলে বাড়তি আমদানিতে মোকামিদের মাঝে স্বস্তিও ফিরেছে। মাছের দরদাম নিয়েও সন্তুষ্ট তারা। তবে প্রজনন মৌসুমের কারণে ২২দিন নদীতে জাল ফেলা নিষিদ্ধ থাকবে। মৎস্যজীবীরা বলছেন, এতে ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।

এদিকে, ভরা মৌসুমের ২২দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে জেলেসহ ব্যবসায়ীদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে এমনটাই দাবি মৎস্য ব্যবসায়ীদের এই নেতরা। অন্যদিকে, দীর্ঘ গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে মৌসুমের এই সময় মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানালেন, দেশের শীর্ষ এই মৎস্যবিজ্ঞানী।

চাঁদপুর মৎস্য সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল খালেক মাল বলেন, এখন মাছের পেটে ডিমের পরিমাণ খুবই কম। এখন যে ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে সেই সময়ে মাছতো পাওয়া যাবেই না, এরপরেও মাছ পাওয়া যায় কিনা সন্দেহ।

চাঁদপুর নদীকেন্দ্রের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিছুর রহমান বলেন, প্রজননের মূল সময়টা ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ধরা হয়েছে। এখন তাদের পেটে যে ডিম রয়েছে ওই সময়ের মধ্যে তা পরিপক্কতা পাবে এবং এই সময়ের মধ্যেই তারা নিরাপদে ডিম ছেড়ে যেতে পারবে। এই সময়টায় তাদের সুরক্ষা দেয়াটা জরুরি।

মা ইলিশ ডিম ছাড়বে। তাই ৬টি অভয়াশ্রমসহ ইলিশ বিচরণের ক্ষেত্রগুলোতে আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।