ঝিকরগাছায় ৪১হাজার টাকায় ম্যানেজিং কমিটি গঠন!

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৮নং নির্বাসখোলা ইউনিয়নের অন্তগত শিওরদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামক প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটির ৪১হাজার টাকার নির্বাচনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার তার প্রতিবেদনে বলছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বিষয়ে সম্প্রতি ০৮ ফেব্রুয়ারী, উমাশিঅ/ঝিকর/২০২৪/২৮ নং স্মারকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা স্বাক্ষরিত নির্বাচনী তফসিলে ০৭ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মর্মে ঘোষনা দেন। নির্ধারিত তারিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য পদে আবুল ইসলাম, কামারুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, আঃ রহিম, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য আয়রা খাতুন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত। আর তাদের নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক, মিন্টু মিয়া, কোরবান আলী, স্বপন কুমার দাস ও সোনিয়া খাতুন পরাজিত হন। এছাড়াও সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি মখলেছুর রহমান, লোকমান হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি সুরাইয়া পারভীনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। বিদ্যালয় থেকে এই তথ্য জানা গেলেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের কার্যালয় থেকে গত ১১ মার্চ, উমাশিঅ/ঝিকর/২০২৪/৬৭ নং স্মারকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণির সদস্য নির্বাচন সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সকল সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এবারের বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে খরচ হয়েছে মাত্র ৪১হাজার টাকা। সেটা ইতিমধ্যে সমুদয় টাকা পরিশোধ করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমার। তবে বিদ্যালয়ের নির্বাচন কেন্দ্রিক নগদ ৪১হাজার টাকার উপরে খরচ হল দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা টাকা গ্রহণ করার পরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিপরীতে কি করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় ? এটা কেমন ভূল! এবিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল ও অভিভাবক মহলে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমার বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমার এখানের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। স্যারের উপস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্যারের সাথে যোগাযোগ করলে আপনারা সব তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও নির্বাচনী ব্যায় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এখনো সঠিক ভাবে হিসেব কমপ্লিড করা হয়নি। তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে বলেছিলেন ৪১হাজার টাকা খরচ হবে আমি সেটা তাকে পরিশোধ করেছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা বলেন, আমার উপস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাহলে প্রতিবেদনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, হয়তো ভূল হতে পারে। আমার নিকট থাকা কাগজপত্র দেখে বলতে পারবো। ভূল হলে আমি সংশোধন করবো।