টাঙ্গাইলে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর গলায় ইটের বস্তা বাঁধা দম্পতির লাশ

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুরে নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এক দম্পতির লাশ ‍উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- রসুলপুর বাছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অনিল কুমার দাস (৬৮) ও তার স্ত্রী কল্পনা রাণী দাস (৫৯)।

মরদেহের গলায় ইটের বস্তা বাঁধা থাকায় পুলিশের ধারণা তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। আগের দিন বুধবার রাত থেকে ওই দম্পতি নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতদের বাড়ির নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে গলায় ইটের বস্তা বাঁধা অবস্থায় লাশ দুটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক ভূইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোবিন্দ চন্দ্র পাল, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ও গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজকুমার সরকার।

নিহত অনিল কুমার দাসের ছোট ভাই কবি স্বপন সৌমিত্র দাস বলেন, আমার ভাই ও বৌদি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তাদের হত্যা করতে পারে এমন কোন শত্রু আমার জানা মতে নেই।

নিহত দম্পতির একমাত্র ছেলে নির্মল কুমার দাস ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরি করেন। আর একমাত্র মেয়ে অঞ্জনা দাস আমেরিকা প্রবাসী।