ট্রাম্পের বীভৎস ছবির জেরে উপস্থাপক চাকরিচ্যুত

সিএনএন থেকে চাকরি গেছে খ্যাতনামা কৌতুক অভিনেত্রী ও উপস্থাপক ক্যাথি গ্রিফিনের।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বীভৎস ছবি প্রকাশ করায় গ্রিফিনকে চাকরিচ্যুত করেছে সিএনএন। আজ বৃহস্পতিবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

ছবিতে দেখা যায়, ট্রাম্পের রক্তাক্ত কাটা মুণ্ডু হাতে ধরে আছেন গ্রিফিন।

ছবিটি প্রকাশিত হওয়ার পর গ্রিফিন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। একপর্যায়ে ক্ষমা চান তিনি। ক্ষমা চাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় সিএনএন থেকে তাঁর চাকরি যায়।

ছবি প্রকাশের পর গ্রিফিনের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।

গতকাল বুধবার এক টুইটে গ্রিফিনকে ‘অসুস্থ’ উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, গ্রিফিনকে লজ্জিত হওয়া উচিত। এই ছবি নিয়ে তাঁর (ট্রাম্প) ১১ বছর বয়সী ছেলে ব্যারন বাজে সময় পার করছে।

ট্রাম্পের পরিবারের একাধিক সদস্য এই ছবির সমালোচনা করেছেন। ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প বলেছেন, একজন মা, একজন স্ত্রী ও একজন মানুষ হিসেবে তিনি বলতে চান, ছবিটি অস্বাভাবিক। এই ধরনের ছবি দেওয়া ঠিক হয়নি। এই কাজ যিনি করেছেন, তাঁর মানসিক সুস্থতা নিয়ে অবাক হতে হয়।

সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিট রমনি, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মেয়ে চেলসি ক্লিনটনসহ উদার ও রক্ষণশীল উভয় শিবির থেকে ছবির সমালোচনা করা হয়েছে।

চেলসি ক্লিনটন এই ছবিকে ‘অরুচিকর’ ও ‘অনৈতিক’ বলে বর্ণনা করেছেন। গ্রিফিনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমি তাঁর বাক্‌স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে আমি মনে করি, এটা মজার কিছু নয়। এটা ঠিক না।’

গ্রিফিন ২০০৭ সাল থেকে সিএনএনে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে আসছিলেন। সহ-উপস্থাপক অ্যান্ডারসন কুপারও গ্রিফিনের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এমন ছবি দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ৫৬ বছর বয়সী গ্রিফিন স্বীকার করেন, সীমা অতিক্রম করেছেন তিনি।

গ্রিফিন বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি এখন ছবি প্রকাশের প্রতিক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি।’

গ্রিফিন আরও বলেন, এই ছবি লোকজনকে কতটা ক্ষুব্ধ করেছে, তা বুঝতে পেরেছেন তিনি। এটা মজার কিছু ছিল না। পেশাগত জীবনে বহু ভুল করেছেন তিনি। ভবিষ্যতেও করবেন। সবার কাছে ক্ষমা চান তিনি।

বিতর্কিত ছবিটি তুলেছেন আলোকচিত্রী টেইলর শিল্ডস। ছবি জন্য কোনো দুঃখ প্রকাশ করেননি তিনি। তবে তাঁকে ছবি বাদ দিতে বলেছেন গ্রিফিন।

গতকাল বিকেলে সিএনএন জানায়, তারা গ্রিফিনের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে।

একই ঘটনায় গ্রিফিনের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে আরও প্রতিষ্ঠান।