ঠাকুরগাঁওএর রাণীশংকৈলে বিশ্ব নবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ

ভারত সরকারের মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও মিডিয়া সেল প্রধান নবীন জিন্দান বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মদ(সাঃ)কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার (১৩ জুন) ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত উলামা
পরিষদ (রাণীশংকৈল,বালিয়াডাঙ্গি ও হরিপুর)।

এদিন বিকেল ২ টায় হ্যালিপ্যাড মাঠে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রায় ২০ হাজার মুসল্লি বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে উলামা পরিষদের সভাপতি ও বালিয়াডাঙ্গি জামিরিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, উলমা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জ জামিরিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নুরুজ্জামান, উলমা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দীন,সভাপতি মাওলানা আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
পরে তারা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে চৌরাস্তা মোড়ে আবার সমাবেশ করে। মিছিলে তারা “নূপুর শর্মার দুই গালে,জুতা মারো তালে তালে” বদরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার” ইত্যাদি শ্লোগান দেয়। চৌরাস্তা মোড়ে সমবেত হয়ে বিভিন্ন বক্তা বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তারা নূপুর শর্মা ও দিল্লির মিডিয়া প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের বিচার ও শাস্তি চেয়ে ভারত সরকারকে চাপ দেবার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এই সাথে তারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশ্বনবীর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

পরে তারা নূপুর ও জিন্দালের কুশ পুত্তলিকা দাহ করেন। বক্তারা বলেন, ভারতের মত একটি সভ্য রাস্ট্রে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বিশ্ব নবীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে গোটা বিশ্বের মুসলিমকে আঘাত করেছে, যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আজ শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বে তাদের প্রতি ঘৃণা জন্ম নিয়েছে। এখনো পর্যন্ত ভারত সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যত প্রদক্ষেপ গ্রহন করেনি। অবিলম্বে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সকল পণ্য বয়কট করার আহবান জানান। তারা মহানবীকে অবমাননাকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর কর্মসুচি দেয়ার হুশিয়ারি দেন। এবং ভারতীয় পণ্য বর্জনেরও আহবান জানান।