ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে ৩শ মন্ডপে পালিত হলো সরস্বতী পুজা

সারাদেশের ন্যায় বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সম্প্রীতির উপজেলা হিসেবে খ্যাত ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ৩শ মন্ডপে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজার আয়োজন করেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। বাণী অর্চনা ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে উপজেলার প্রতিটি হিন্দু পাড়ার মন্ডপে, মন্ডপে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা, বাণী ও সুরের দেবী সরস্বতীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

ধর্মীয় বিধান অনুসারে সাদা রাজহাঁসে চড়ে বিদ্যা ও সুরের দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবে পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী

সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন অগণিত ভক্ত। সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী।

এ উপলক্ষে এদিন দুপুর ১২ টায় পৌরশহরে উপজেলার সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে এ পূজাপর্বের আয়োজন করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ সময় ওই কলেজের সহকারি অধ্যাপক শাহাজাহান আলী, প্রশান্ত বসাক, সুকুমার বসাক, নরেন্দ্রনাথ রায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও প্রভাষক পিনাকি বসাক, চৈতি রায়, জুয়েল রানাসহ ওই অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দিগেন্দ্রনাথ রায় এবং কলেজের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও পৌরশহরের কলেজ পাড়া মন্দির, হাটখোলা মন্দির, গোবিন্দ মন্দিরসহ উপজেলার বিভিন্ন মন্দির, পাড়ায় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ শত মন্ডপে স্বরসতী পূজা উৎসবমূখর পরিবেশে প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে অনু্ষ্ঠিত হয়।

সরস্বতী দেবীর পূজাকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ঢল নামে মন্ডপে মন্ডপে। আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে সকলেই। ঢাকের শব্দ ও উলু ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে পূজা মন্ডপগুলো। বিদ্যা এবং জ্ঞান লাভের আশায় সরস্বতী মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন। শেষে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এদিন বিকেলে আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ গ্রহণের মধ্যদিয়ে পৌর শহরের পাশে কুলিক নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার সমাপ্ত হয়।

রাণীশংকৈল উপজেলা পূজা উদযাপান কমিটির তথ্যমতে, এ বছর উপজেলায় ৩শ টি মন্ডপে সরস্বতি পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান তারা।