ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তিন স্তরে মনিটরিংয়ের পরামর্শ

বাংলাদেশে চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কলকাতা সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। আর এ প্রতিরোধ ব্যবস্থার আওতায় ওয়ার্ড লেভেল, জোন লেভেল এবং কেন্দ্রীয় লেভেল, এই তিন স্তরে মনিটরিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসব পরামর্শ দেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র।

ভিডিও কনফারেন্সে মেয়র আতিকুল ইসলামসহ পুরো সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের প্রতি পরামর্শ দিয়ে কলকাতার ডেপুটি মেয়র বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলার ধাপ দুটি। এক- প্রতিরোধমূলক এবং দুই- প্রতিকারমূলক। তবে সবচেয়ে বেশি কার্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কলকাতা সিটি করপোরেশন নেওয়া উদ্যোগের উদাহরণ দিয়ে অতীন ঘোষ বলেন, এডিস মশার প্রজননস্থল আমরা খুঁজে বের করে ধ্বংস করে দেই। এ জন্য তৃণমূল পর্যায়ে ওয়ার্ড লেভেল, জোন লেভেলে এবং সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রীয় লেভেলে মনিটরিং করা হয়।

ডেঙ্গু বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের প্রতি জোর দিয়ে কলকাতার ডেপুটি মেয়র আরও বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি কেমন, সে বিষয়ে সঠিক ধারণা দরকার। আর তা নিতে হলে তথ্য দরকার। আমাদের ১৪৪টি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ১৪৪ জন কর্মী আছেন, যাদের কাজই হচ্ছে প্রতিদিনের তথ্য নেওয়া। তারা হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য নেন এবং তার বাসায় গিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল খোঁজেন। পেয়ে গেলে সেটি ধ্বংস করা হয়। এভাবে কোথায় কোথায় ডেঙ্গুর প্রজননস্থল আছে তার একটা চিত্র পাই আমরা। আর সেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গুরুত্ব সহকারে কাজ করা হয়।

এ ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে কলকাতা সিটি করপোরেশন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের সঙ্গে প্রধান ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মকর্তা দেবাশীষ বিশ্বাস, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক মুখ্য পরামর্শক তপন মুখার্জিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন,প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র বড়ুয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।