ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ

আপনজনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। আর বাড়ি ফিরতে যারা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়ক ব্যবহার করছেন বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত তারা রয়েছেন স্বস্তিতে। বৃহস্পতিবার ছিল সরকারি এবং বিভিন্ন পোশাক কারখানার শেষ কর্মদিবস। অনেকেই আগেভাগে অফিস শেষ করে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য বাড়ির উদ্যেশে রওনা দিয়েছেন।

এ মহাসড়ক দিয়ে প্রায় ২২ থেকে ২৩ জেলার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। বৃহস্পতিবার সারাদিন গাড়ির চাপ কম থাকায় টাঙ্গাইলের অংশে কোন যানজটের সৃষ্টি হয়নি। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতায়াত করেছেন। তবে রাত বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির চাপও বাড়ছে। মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মহাসড়কে নিরলসভাবে কাজ করছেন।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার মহাসড়কের রাস্তায় গাড়ির কোন চাপ নেই। নির্বিঘ্নেই চলছে যানবাহন। মহাসড়কগুলো প্রায়ই ফাঁকা। রাস্তায় মাঝে-মধ্যে যানবাহনের কিছুটা দেখা দিলেও আবার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তবে অনেকই গাড়ি ছাদে কিংবা ট্রাকে করে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা গেছে। সর্বশেষ রাত ৯টা পর্যন্ত এ পরিস্থতি অব্যহত থাকে।

এ সময় পুলিশ বলেন, মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে বৃহস্পতিবার গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় এবং পুলিশ যানজট নিরসনে সর্তক অবস্থানে থাকায় কোথাওে কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। তবে বৃষ্টি পড়লে যানজটের ভোগান্তি হতে পারে।

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নিজ বাড়ি বগুড়ার উদ্দেশে যাচ্ছেন গার্মেন্টস শ্রমিক আলম। তিনি উঠেছেন বাইপাইল থেকে। তিনি বলেন, রাস্তায় কোনো যানজট পাইনি। আরামেই বাড়ি যাচ্ছি।

সিলেট থেকে পাথর বোঝাই ট্রাক নিয়ে চালক লিয়াকত হোসেন যাবেন সিরাজগঞ্জ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় করটিয়া বাইপাসে কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, ‘চন্দ্রা থেকে গাড়ি টানের উপর ছিলাম। কোথাও কোনো গাড়ির জট পাইনি। মাত্র দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে। ভাবিই নাই এত তাড়া তাড়ি চলে আসতে পারবো।’

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এস আই শাহ আলম বলেন, আজ এখন পর্যন্ত কোথায় কোন ধরনের যানজটের সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিকভাবেই যানবাহন চলাচল করেছ। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ নিরলভভাবে কাজ করেছ।

মির্জাপুর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট প্রনব কুমার সরকার বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় যানজট হয়নি। এছাড়া প্রতি আধা কিলোমিটার পরপর পুলিশ থাকায়ও যানজট হয়নি। মহাসড়কে কোথাও গাড়ি থেমে ছিল না। প্রতিটি গাড়ি চলন্ত অবস্থায় ছিল।