ঢাবির সহকারী প্রক্টর রবিউল ইসলামের পদত্যাগ দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট বিশেষ অধিবেশন চলাকালে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নেতৃত্বদানকারী আখ্যা দিয়ে সহকারী প্রক্টর রবিউল ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী অন্যান্যদের শাস্তির দাবিতে বুধবার অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিক্ষোভ করবেন তারা।

সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি করা হয়।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাসুদ আল মাহদী। তিনি চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবি সমূহের মধ্যে রয়েছে- অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে; শিক্ষার্থী প্রতিনিধিসহ স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে; সহকারী প্রক্টর রবিউল ইমলামের পদত্যাগ এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এ দিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যকার ধস্তাধস্তির তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তিন সদস্যের কমিটিতে ছাত্র প্রতিনিধি না থাকায় নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন আশা করা বাতুলতা বলেও মনে করেন শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ আলী তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আগেই দোষীদের শাস্তি দেয়া হবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে বোঝা যায় প্রহসনের তদন্ত হবে। অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচন কার্যকর করার লক্ষ্যে আগামী ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার মধুর ক্যান্টিনে একটি উন্মুক্ত আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ছাড়াও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা ও গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। যার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ অন্যান ছাত্র সংগঠনগুলো। এখান থেকে একটি কার্যকর উপায় বের হবে বলে মনে করেন তারা। অন্যথায় ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।