ঢাবি ক্যাম্পাসে রড লাঠি নিয়ে ছাত্রলীগের অবস্থান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের মল চত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ। সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অধিকাংশের হাতে রয়েছে রাম দাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র। পুরো ক্যাম্পাস এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মল চত্বরে শতাধিক মোটরসাইকেলে করে জড়ো হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মল চত্বরের দিকে আসছে। তাদের অধিকাংশের হাতেই লোহার রড।

এদিকে টিএসসি এলাকায় অবস্থান নিয়েছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীরা। তাদের হাতে ইট ও লাঠি দেখা যায়। এরইমধ্যে ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় মল চত্বরে শতাধিক মোটরসাইকেল, দেশীয় অস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক নিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেছে। রাত পৌনে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের অবস্থান ছিল। রাত ৮টার দিকে নীলক্ষেত মোড় থেকে হেলমেট পরা আরো বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী মল চত্বরে আসে।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে ছিল রড, রাম দা, হকিস্টিকসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র।
জানা যায়, মল চত্বরে অবস্থানকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ক্যাম্পাসে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন অনেকে।

অস্ত্রসহ ছাত্রলীগের অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাই সবাইকে চলে যাওয়ার আহ্বানই জানাব।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে গতকাল রোববার শাহবাগে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। কিন্তু পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও যোগ দেয়।

আজ বিষয়টি নিয়ে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনকারীদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে আন্দোলন। এ সময়টা সরকার বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে।

তবে টিএসসি এলাকায় অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা তা মেনে নেয়নি। তাঁরা এখনো সেখানে অবস্থান করছে।