তথাকথিত সুশীলরা ‘অন্ধ’ ও ‘বধির’ : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুশীল সমাজের কিছু মানুষ ক্ষমতায় যেতে চায়। আর তাদের আচরণ দেখলে গাধার কথা মনে হয়।

বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।

সরকারপ্রধান বলেন, সংসদে বিএনপি না থাকায় অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার হয়নি, আর জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে গণতান্ত্রিক এবং গঠনমূলক ভূমিকা পালন করছে।

সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার সব সময় সবাইকে নিয়েই চলতে চেয়েছে। উৎপাদন, প্রবৃদ্ধি, রিজার্ভসহ দেশের অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নে ছোঁয়া যাতে তৃণমূলের মানুষের কাছে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার।

সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত যখন আমাদের অপোজিশনে ছিল, বিরোধী দলে ছিল, তখন যে খিস্তিখেউড় হতো, তখন যেসব আলাপ-আলোচনা হতো যা কান পেতে শোনা যেত না। অন্তত এখন সেসব নেই। এখন অন্তত আমি মনে করি, অত্যন্ত গণতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করছেন এবং সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা বিরোধী দল করছে। আর দেশবাসীকে আমি ধন্যবাদ জানাই, কারণ দেশবাসীর কাছ থেকে, মাননীয় স্পিকার, সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা পাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে সুশীল কাদের বোঝায় এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা জনগণের কাছে যেতে চায় না, ক্ষমতায় যেতে বাঁকা পথ খোঁজে। এ প্রসঙ্গে সার্কাস দলের একটি গাধার বিয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা শ্রেণি আছে বাংলাদেশে, যেটা আমি বারবার বলে থাকি যে, তাদের খুব আকাঙ্ক্ষা ক্ষমতায় যাওয়ার। তাদের আকাঙ্ক্ষা পতাকা পাওয়ার। কিন্তু তারা জনগণের কাছে যেতে পারে না। ভোটের রাজনীতিতে তারা অচল। সার্কাস পার্টিতে বসে থেকে ওই দড়ির দিকে তাকিয়ে থাকে, ওই দড়ি কবে ছিঁড়বে, তবে তার একটা ভালো সুন্দরীর মেয়ের সাথে বিয়ে হবে।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমি কাউকে গাধা বলছি না। কেননা আমাদের দেশে সবাই জ্ঞানী-গুণী, শিক্ষিত। অনেক শিক্ষিত, বিদেশ থেকে উচ্চ ডিগ্রিধারী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। সবাই আন্তর্জাতিক অনেক কাজ করেন। তাঁদের আমি গাধা বলছি না। তবে কাজ, আচরণগুলো যেগুলো আমরা দেখি আর ওই যে কবে দড়ি ছিঁড়বে, কবে কপাল খুলবে, ওই আশায় যারা বসে থাকে; খুব স্বাভাবিকভাবে তখন তো গাধার কথা মনে পড়ে, মাননীয় স্পিকার।’