আরো এক মামলায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল

আরো এক মামলায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেন আদালত। বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

শুধু তাই নয়, এ মামলায় বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ছয়জনের মধ্যে দুইজনের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। অন্য চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

গত বছরের ৬ আগস্ট আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলাতেও দুই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছিলেন হাইকোর্ট। যদিও সেই মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৬ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দুইজনকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে নির্মমভাবে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস। ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ছাত্রলীগের ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

পরের বছর ১৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত ওই হত্যা মামলায় ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক।

২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কোন্দলে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন ইংরেজি বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র জুবায়ের আহামেদ।

জুবায়ের নিহত হওয়ার পর ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে পদত্যাগে বাধ্য হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সময়কার উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নিবন্ধক হামিদুর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।

২০১২ সালের ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মীর শাহীন শাহ পারভেজ। পরে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান দু’জন।