তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধিত খসড়া দ্রুত পাশ করার দাবি জানিয়েছেন শীর্ষ ব্যবসায়িরা

সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোনীর জন্য একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। আইন সংশোধনের এই খসড়া দ্রুত পাশ করার দাবি জানিয়েছেন শীর্ষ ব্যবসায়িদের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশন (বিএসওএ)-এর নেতৃবৃন্দ।

রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় ঢাকার মহাখালীতে বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশনের সাথে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের এক যৌথ মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।

বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিয়াজ রহিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার ও বিসিআইসি’র অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম, মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভী, প্রোগ্রাম অফিসার শারমীন আক্তার রিনি, অদূত রহমান ইমন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিয়াজ রহিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪০ সালে তামাকমুক্ত করার ভিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশন একমত পোষণ করছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করতে এর অধিকতর সংশোধনীর জন্য একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে, এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আমরা সাধুবাদ জানাই। সংশোধিত খসড়াতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা আশা করবো সংশোধিত আইনটি দ্রুত পাশ হবে ও প্রধানমন্ত্রীর ভিশন সফল হবে।
বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বলেন, এটা সকলেই জানেন যে, যে কোন মাদকের শুরুই ধূমপান দিয়ে হয়। আর তাই আমরাও চাই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণাকে সফল করতে। দেশে বর্তমানে দুইশ’র অধিক সুপারমার্কেট রয়েছে। আমরা আমাদের সদস্যদেরকে তাদের নিজ নিজ সুপারমার্কেটে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী বন্ধে যথাসম্ভব উদ্যোগ গ্রহণ করবো। আমরা জেনেছি যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী খসড়াতে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী বন্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে যেটা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত হয়েছে বলে আমি মনে করি । এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি আইন সংশোধনীর খসড়াটি দ্রুত পাস করার জন্য সরকারের সংশিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকষণ করছি।

ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার ও বিসিআইসি’র অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ আইনে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা পুরোপুরি নিষেধ। তবে বিদ্যমান আইনে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শনী বন্ধে সুনির্দিষ্ট কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আর এ সুযোগে তামাক কোম্পানীগুলো বিক্রয়কেন্দ্রে তাদের পণ্যের প্রদর্শনীর মাধ্যমে মূলত তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা করছে ।

এজন্য সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোনীর জন্য একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। এই খসড়াটি অনুমোদন পেলে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী, খুচরা বিক্রি ও তামাক কোম্পানীর সিএসআর বন্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বেশ কিছু দুর্বল দিক অনেকাংশেই দূর হবে এবং আমরা শক্তিশালী একটা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাবো বলে আমি বিশ্বাস করি।